রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
ধর্ষণ করে গর্ভবতী করার অভিযুক্তের দাবি

২০ বছর আগে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি

২০ বছর আগে নামি এক চিকিৎসকের কাছে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রেমোদয়ের। ফলে ধর্ষণ করে কাউকে অন্তঃসত্ত্বা করার মতো ক্ষমতা তার মক্কেলের নেই।
আইন ও বিচার ডেস্ক
  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

২০ বছর আগে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি। ফলে কাউকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা করার মতো ক্ষমতা নেই তার। আদালতে এমনই দাবি করলেন বন্ধুর নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দিলিস্নর সরকারি কর্তা প্রেমোদয় খাখা। তবে অভিযুক্তের এই দাবির সত্যতা কতটা, তা খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে দেখতে চাইছে দিলিস্নর পুলিশ।

দিলিস্নর একটি আদালতে পেশ করা হয়েছিল ধর্ষণকান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত প্রেমোদয় এবং তার স্ত্রী সীমা রানিকে। আদালতে তাদের আইনজীবী দাবি করেন, ২০ বছর আগে নামি এক চিকিৎসকের কাছে বন্ধ্যত্বের অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রেমোদয়ের। ফলে ধর্ষণ করে কাউকে অন্তঃসত্ত্বা করার মতো ক্ষমতা তার মক্কেলের নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বন্ধ্যত্বের এই অস্ত্রোপচারকে ভ্যাসেকটমি বলে। ভ্যাসেকটমি হওয়ার ফলে প্রেমোদয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও উড়িয়ে দেন তার আইনজীবী।

পুলিশ অবশ্য দাবির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে প্রেমোদয়ের পোটেন্সি টেস্ট করে দেখতে চাইছে। এই পরীক্ষায় ধরা পড়বে যে, সত্যিই কাউকে গর্ভবতী করার মতো ক্ষমতা অভিযুক্তের রয়েছে কিনা। আদালত প্রেমোদয় এবং তার স্ত্রীকে একদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

বন্ধুর নাবালিকা মেয়েকে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে দিলিস্ন সরকারের নারী এবং শিশু উন্নয়ন দপ্তরের উচ্চপদে কাজ করা প্রেমোদয়ের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য তাকে সাসপেন্ড করে দিলিস্নর আপ সরকার। ধর্ষণের বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয়, তার জন্য ওই আধিকারিকের স্ত্রী ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত করান বলে জানায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নাবালিকা। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। অভিযুক্ত এবং তার স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধী আইন পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। ২০২০ সালে মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার পর তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধুর মেয়েকে দেখাশোনা করার কথা গর্ব করেই প্রকাশ্যে বলতেন ওই সরকারি আধিকারিক। মেয়েটির অভিযোগ, ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত একটানা তাকে ধর্ষণ করে গিয়েছেন অভিযুক্ত। তার পর মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি স্ত্রীর কাছে বলেন তিনি। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে নাবালিকা জানিয়েছে, ওষুধ এনে বাড়িতেই তার গর্ভপাত করান অভিযুক্তের স্ত্রী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে