রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত মায়ের সঙ্গে কারাগারে যেতে হলো আরেক দুগ্ধপোষ্য শিশুকে

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

সম্প্রতি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্যতম হলেন নিহত গৃহবধূও ২৫ বছর বয়সি ননদ হোছনা বেগম। আদালতে যার কোলে ছিল দুগ্ধপোষ্য এক শিশু। আর রায়ের পর মায়ের সঙ্গে কারাগারে যেতে হয়েছে দেড় বছরের সেই শিশুকেও। এছাড়া নেই কোনো উপায়। নিষ্পাপ এই শিশুটি যেহেতু মায়ের বুকের দুধ পান করে; তাই আদালত তাকেও মায়ের সঙ্গে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শিশুটির নাম মাদিহা আক্তার। সাদেকপুর গ্রামের মিজান মিয়া-হোছনা দম্পতির মেয়ে সে। আদালত প্রাঙ্গণে মাকে দুই হাতে জড়িয়ে ধরে ফ্যালফ্যালিয়ে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিল মাদিহা। হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণের এ দৃশ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের হৃদয়ে দাগ কেটেছে।

যৌতুকের জন্য আয়েশা আক্তার নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামী, শাশুড়ি, দেবর ও ননদসহ পাঁচজনকে মৃতু্যদন্ডের আদেশ দেন আদালত। আদালতের পেশকার মো. জিয়াউল হক বলেন, শিশুটি যেহেতু মায়ের বুকের দুধ পান করে। তাই আইন অনুযায়ী বিচারক তাকেও মায়ের সঙ্গে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে চুনারুঘাট উপজেলার পঞ্চাশ গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা আয়েশা আক্তারকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। নিহতের বাবা আব্দুস সাত্তার ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে নিহতের স্বামী রাসেল মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রম্নয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত বৃহস্পতিবার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল-২ এর বিচারক মো. জাহিদুল হক এ রায় দেন।

দন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- নিহতের স্বামী জেলার চুনারুঘাটের সাদেকপুর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৬), শাশুড়ি তাহেরা বেগম (৫৫), দেবর কাউছার মিয়া (৩৫), ননদ হোছনা বেগম (২৫) ও রোজি বেগম (৩২)। তাদের মধ্যে দেবর কাউছার

মিয়া পলাতক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে