স্ত্রী ঘরের কাজ করবেন, স্বামীর এই প্রত্যাশা অন্যায় নয়। স্ত্রীকে ঘরের কাজ করতে বলা মানেই স্বামী নিষ্ঠুর নন। একটি মামলায় সম্প্রতি এমনটাই মন্তব্য করেছেন দিলিস্ন হাইকোর্ট। স্ত্রীর নিষ্ঠুরতায় দায়ে যুবককে বিয়েবিচ্ছেদের অনুমতিও দিয়েছেন আদালত।

দিলিস্ন হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি নীনা বনসল কৃষ্ণার বেঞ্চে বিচ্ছেদের মামলাটি ওঠে। মামলাকারী যুবক নিম্ন আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে বিচ্ছেদের অনুমতি চেয়েছিলেন। সেখানে তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন যুবক। যুবকের অভিযোগ, তার স্ত্রী ঘরের কোনো কাজ করেন না। সংসারের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন না। শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করে চলেও গিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি ভুয়ো অপরাধের মামলাও ঠুকেছেন। এমনকি, স্ত্রী এবং তার পরিবার ওই যুবককে নিজের পরিবারের থেকে আলাদা থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। তাই স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছেদ চেয়েছেন তিনি।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীর কাছ থেকে যুবকের যা প্রত্যাশা, তাকে নিষ্ঠুরতা বলা যায় না। কারণ, কোনো কোনো বৈবাহিক সম্পর্কে সাধারণত স্বামী অর্থনৈতিক ভার গ্রহণ করেন এবং স্ত্রী ঘর সামলান। দাম্পত্য এই দায়িত্বগুলো ভাগাভাগি হয়ে থাকে। এটি ওই পরিবারের প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধার প্রতিফলন। স্ত্রীর ওই কাজকে কোনো পরিচারিকার কাজের সঙ্গে তুলনা করাও অনুচিত।

একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছেন, স্বামীকে তার নিজের পরিবার ছেড়ে অন্যত্র থাকতে জোর করা স্ত্রীর নিষ্ঠুরতা। কারণ যে কোনো বয়স্ক পিতামাতার প্রতি পুত্রের আইনি এবং নীতিগত দায়বদ্ধতা থাকে। সন্তান তার বাবা, মাকে ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র থাকবেন, তা হিন্দু সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিতও নয় বলে জানান বিচারপতি। দু'টি ক্ষেত্রে যুবকের স্ত্রীকে বিচ্ছেদের জন্য দায়ী করেছেন আদালত। এক, তিনি স্বামীকে পরিবারের বাইরে থাকতে জোর করেছেন। দুই, তিনি নিজে শ্বশুরবাড়িতে না থেকে, দাম্পত্যের দায়বদ্ধতা না মেনে নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়ে থেকেছেন। এই দুই কারণে আদালত যুবককে বিয়েবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছেন।

চেক ডিসঅনার মামলা দায়েরে আদালতের অধিক্ষেত্রের প্রাসঙ্গিকতা