দুঃস্বপ্নকে সত্য ভেবে মাথা রেখেছিলাম
ভ্রান্তির কোলে;
শতাব্দীর সত্যে দাঁড়িয়ে থাকা তুমি
নিদ্রার ভ্রমে থাকা নিদ্রাহীন আমারে
অবিরল ডেকে গেলে।
জেগে দেখি বাতাসে বিষাক্ততার ছোঁয়া,
আজও হিরোশিমা-নাগাসাকির পোড়া গন্ধের ধোঁয়া
ভূমন্ডল থেকে ট্রপোমন্ডল ছাড়িয়ে গেছে।
বিষাক্ত নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকা প্রাণ
ভুলে গেছে জগতের শুদ্ধতার মান।
পোড়া মানুষের গন্ধ আর পঙ্গুত্বের চিত্র
আমারে অন্ধ করে দিয়েছে,
তাকাতে পারছি না আমি চক্ষু মেলে,
শুধু শুনতে পাই ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমে
ইসরাইলি হত্যার শতধ্বনি আর মৃতের আর্তনাদ।
জেগে ছিলাম না এতকাল, কেন ডেকেছো আমারে?
মনুষ্যের ভয়ানক মূর্খ অমানবিকতার ছোঁয়ায়
সদ্য শিশুর প্রতিবাদী ক্রন্দনের কণ্ঠস্বর
শিরায় উপশিরায় থাকা শতাব্দীর অন্যায় কে
প্রতিহত করার কলম হাতে ধরায়।
সপ্তমাকাশের আরশ আজ কাঁপছে কলমের ডাকে
কুরসিতে আসীন স্রষ্টার অনুকম্পার কম্পনে
ধূলির ধরা শিগগিরই উঠবে কেঁপে।
নরপিশাচদের মৃতু্যর নিত্য নৃত্যের তালে
সকল অন্যায়-অবিচারের অবসান হবে পূত ভূমে।