শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বাত ব্যথা ও প্যারালাইসিসের উন্নত চিকিৎসা দিচ্ছে 'ডিপিআরসি'

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:২৭
আপডেট  : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৩৩
বাত ব্যথা ও প্যারালাইসিসের উন্নত চিকিৎসা দিচ্ছে 'ডিপিআরসি'

বাত-ব্যথা একটি অপ্রীতিকর অনুভূতি এবং মানসিক অভিজ্ঞতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যথাকে একটি রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়। একটা সময় ছিল, যখন মানুষ সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার অভাবে বাত-ব্যথা ও প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতো কিংবা পঙ্গু হয়ে মানবতের জীবন যাপন করত। তখন মানুষ বাত, ব্যথা ও প্যরালাইসিসকে অভিশাপ হিসেবে মেনে নিতো। তবে বিজ্ঞানের সবকটি শাখার উন্নতির ধারাবাহিকতায় থেমে নেই চিকিৎসা বিজ্ঞানও। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখাটি উন্নয়নের অবদানে বাত-ব্যথা প্যরালাইসিস আক্রান্ত রোগীদের কমেছে মৃত্যু হার, মানুষ ফিরে পাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন, ফিরে পাচ্ছে তার মুখের হাসি। দূর হয়েছে অভিশাপ নামের ভ্রান্ত ধারনা। সেই শাখাটির নাম। "ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা"

স্বাস্থ্যের ৪টি অঙ্গ ১. প্রতিরোধ, ২. প্রতিকার, ৩. আরোগ্য ও ৪. পুনর্বাসন।

মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে এদেশে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন খাত ছিলো একদমই উপেক্ষিত। তবে এই পুনর্বাসনের গুরুত্ব প্রথম ফুটে ওঠে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করার সময়। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাঙ্গালী জাতির ও বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় পুনর্বাসন সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় রিহ্যাবিলিটেশন ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল ফর ডিজঅ্যাবলড (আর,আই,এইচ,ডি) যার পরবর্তী নামকরণ করা হয় নিটোর এবং লোকমুখে যা পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত। ১৯৭২ সালে এই হাসপাতাল "ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক" গড়ার সূতিকাগার হিসেবে কাজ করছে। এবং এই প্রতিষ্ঠান থেকেই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় স্নাতক সম্পন্ন করা এক স্বপ্নচারী সাহসী ব্যক্তিত্ব ডাঃ মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান।

বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ এ প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তার কেবলই অনুভব হতে থাকে পুনর্বাসন সেবাটা বেসরকারি কোন পর্যায়েই যথাযথ নেই। এই তাগিদ থেকেই এক সময় ছেড়ে দেন প্রভাষকের দায়িত্ব এবং "আস্থা বিশ্বাস ও নির্ভরতায় অবিচল" স্লোগান নিয়ে শ্যামলীর প্রাণকেন্দ্র ১২/১ রিং রোড গড়ে তোলেন "ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহেবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)” যার যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালে। প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ, মনোরোম ও রোগীবদন্ধব পরিবেশে এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি সফলতার সাথে দেশ ও বিদেশের সকল শ্রেণির মানুষকে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ডিপিআরসি তে অকেগুলো শাখা রয়েছে প্রতিটি শাখা অত্যন্ত আধুনিক এবং দক্ষ জনবল দ্বারা পরিচালিত হয় । যেমন,

ডিপিআরসি (DPRC) ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ল্যাব :

এখানে রয়েছে সকল ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষার সুবিধা যেমন- হেমাটোলজি, সেরলজি, ইমিউনোলোজি, বায়োকেমিক্যাল, ভাইরাল হেপাটাইটিস প্যানেল, হরমোন প্রোফাইল, কার্ডিয়াক এনজিওমার্কার, কোয়াগোলেশন প্রোফাইল, টিউবারকোলোসিস মাইক্রোবায়োলজি, অটোইমোনোলজি, হিস্ট্রোপ্যাথলজি, সাইট্রোপ্যাথলজি, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি, কিডনী প্রোফাইল ইত্যাদি প্যাথলজিকেল পরীক্ষা। এছাড়াও রয়েছে ওপেন এম.আর.আই, সিটিস্ক্যান, ডিজিটাল এক্স-রে, বিএমডি, ডুপ্লেক্স স্ট্যাডি, ইকো কালার ডপলার, ইউএসজি অফ এনোম্যালি স্ক্যান, ইটিটি, ইইজি, ইসিজি, স্পাইরোমেট্রি ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা।

ডিপিআরসি (DPRC) অন্যদের থেকে আলাদা:

অন্যদের থেকে আলাদা হওয়ার কারণ, শতভাগ নির্ভুল রিপোর্ট প্রদান এবং নিম্নোক্ত পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট অতি দ্রুত সময়ে প্রদান করা হয়- ভিটামিন ডি, এনটি সিসিপি, কিডনী প্রোফাইল, আর এখন আইজিএস, সিরাম এ.এন.এ, সি.আরপি, লিপিড প্রোফাইল, সিরাম ইলেকট্রোলাইট, লিভার ফাংশন, পিসিটি, সিপিকে, সিরাম এল্ডোল্যাস, কর্টিসল, টি থ্রি, টি ফোর, টি এস এইচ, এসজি পিটি, এসজি ওটি, সিরাম এমাইলেস, বিডিআরএল, এ এস ও, ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে অতি দ্রুত রিপোর্ট প্রদান করা হয়।

ডিপিআরসি (DPRC) পেইন, প্যারালাইসিস ও আর্থ্রাইটিস সেন্টার:

দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় অপারেশনবিহীন মানসম্মত পেইন, প্যারালাইসিস ও আর্থ্রাইটিস চিকিৎসায় শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে ডিপিআরসি । অপারেশন বিহীন হাটু, কোমর, ঘাড় ও মেরুদণ্ড ব্যথার চিকিৎসা করা হয়। শতভাগ সফলতার নিশ্চয়তায় অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও অভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট দ্বারা সেবা প্রদান করা হয়।

স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিসের কারণে রোগীর মুখ বাঁকা বা শরীরের যেকোনো অংশ বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে এতে রোগী স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায় রোগীর সঠিক চিকিৎসা অতি জরুরী। আর এ ধরণের চিকিৎসা প্রদানে ডিপিআরসি ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যা শতভাগ নিশ্চয়তায় ও সফলতার সাথে চিকিৎসা প্রদান করে আসছে। হাঁড় ক্ষয় রোগ দিন যত বাড়ছে মানুষের হাঁড় তত বেশী ক্ষয় হচ্ছে এতে মানুষের কর্মজীবন বিপন্ন। তাই দরকার এর সঠিক ও স্থায়ী চিকিৎসা।

ডিপিআরসি (DPRC) অ্যাডভান্সড রিহেব-ফিজিও এবং থেরাপি সেন্টার:

দেশ যত উন্নত হচ্ছে তার সাথে সাথে মানুষের চিন্তা চেতনায় বিকাশ ঘটছে তার দিকে লক্ষ্য রেখে ডিপিআরসি নিয়ে এসেছে থেরাপিতে আধুনিকতার ছোঁয়া। উন্নতমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজের ব্যবহার ও অভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট এর মাধ্যমে পুরুষ ও মহিলা আলাদা আলাদাভাবে যেয়ে-এসে- থেরাপি দেয়ার সুব্যবস্থা দিচ্ছে একমাত্র ডিপিআরসি। ইলেকট্রিক মেশিনারিজের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের থেরাপি। এছাড়াও ডিপিআরসি এর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হচ্ছে অ্যাডভান্সড রিহেব-ফিজিও চিকিৎসা। যে চিকিৎসায় শতভাগ রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এটি চিকিৎসা সেবায় কাটা-ছেড়াবিহীন একটি অন্যতম আধুনিক চিকিৎসা। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এ চিকিৎসা কেন্দ্রে আলাদা আলাদাভাবে একসাথে দশজন পুরুষ ও দশজন মহিলা থেরাপি দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে, যা মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে না। যার কারনে দেশ বিদেশ থেকে রোগীরা এসে ডিপিআরসির সু-চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। আমাদের দেশের অনেক প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধারা আছেন যারা সু-চিকিৎসার অভাবের বিদেশের মাটিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারাও এখন কম খরচে উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য ডিপিআরসিকে প্রথম আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে আবারও প্রবাসে ফিরে নিজের কাজে যোগদান করেছেন।

ডিপিআরসি থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়া গুটিকয়েক রোগীর বক্তব্য নিম্নে তুলে ধরা হলো।

মোসাম্মৎ নাজনিন আক্তার (ছদ্মনাম)

বয়সঃ ৪৫ বছর

পেশায়ঃ শিক্ষিকা

বাড়িঃ টাঙ্গাইল

রোগাঃ আর্থ্রাইটিস

আমি আট নয় বছর ধরে আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছিলাম,

অনেক জায়গায় অনেক ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। সেখানে আদৌ কোন উপকার পাই নাই। শুধু টাকা খরচ হইছে।

আমার শরীরে এত ব্যথা করত যে আমি ব্যথার ঔষধ খাওয়া শুরু করেছি। ব্যথার ওষুধ খেতে খেতে, একটা পর্যায় এই ব্যথার ঔষধের কারণে আমার হার্ট ও লিভারের সমস্যা হয়েছে এমন কি আমার হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে। একটা সময় এসে আমি বিছানায় পড়ে গেছি, পঙ্গু হয়ে গেসি, আমি হাটতে পারতাম না, বসতে পারতাম না, আমার স্বাভাবিক জীবন যাপন, অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। পরে আমার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে এই ডিপিআরসির সন্ধ্যান পেলাম। ডিপিআরসিতে আসার পর আমাকে ডক্টর সাহেব এক মাস চিকিৎসা নেওয়ার কথা বললেন কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ ১৮ দিনেই আমি সুস্থ। আল্লাহর রহমতে আমি এখন হাটতে পারি এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছি।

নামঃ মোঃ সিয়াম হোসেন (ছদ্মনাম)

বয়সঃ ১৬ বছর

ঠিকানাঃ পাবনা জেলা

পেশাঃ ছাত্র

রোগঃ এভিএন (হিপ জয়েন্টে ব্যথা)

আমি একদিন বাসার ছাদে ফুলের টবে পানি দিতে গিয়েছিলাম। পানি দেওয়ার সময় আমি হঠাৎ পা পিছলে একতলা ছাদ থেকে পড়ে যাই। পড়ে যাওয়ার সময় একটা গাছের ডালের সাথে মারাত্মকভাবে আঘাত পাই।

ঐ আঘাতটা পাওয়ার পর থেকে আমার হিপ জয়েন্টে অনেক ব্যথা করে। তারপরে আস্তে আস্তে যত দিন বাড়ছে আমার ব্যথাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। আমি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোন উপকার পাইনি। একটা সময় আমি বিছানায় পড়ে যাই, আমার হাঁটাচলা সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, প্রায় পঙ্গু হয়ে যাই আমি, এমন অবস্থায় আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি, আমি ডিপ্রেশনে চলে যাই আমার পরিবারের সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে আমার পরিবার আমাকে সবসময় সাহস যুগিয়েছেন। আমাকে বলেছেন "বাবা তুমি ভালো হয়ে যাবে, তুমি সুস্থ হয়ে যাবে, আমরা তো তোমার চিকিৎসা করাচ্ছি দরকার হলে আমরা তোমাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাব"

তারপরে হঠাৎ করে একদিন আমি ইউটিউবে ডাঃ শফিউল্যাহ প্রধান স্যারের ভিডিও দেখতে পাই। ওখান থেকে দেখেই আমি ডিপিআরসিতে আসি। এসে প্রধান স্যারের অধিনে চিকিৎসা নেই। স্যার আমাকে বলেছিলেন একমাস চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এবং স্যারের দেখানো নিয়ম গুলো অনুসরণ করার জন্য। আলহামদুলিল্লাহ আমি স্যারের কাছে ১৫ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন আমি সুস্থ। এখন আমি হাঁটতে পারি এখন মনে হচ্ছে যে আমি আমার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছি এবং মনে হচ্ছে আমি আমার সকল কাজকর্ম করতে পারব আমি আবার আগের মত আমার পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারব।

আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি অসুস্থ হওয়ার আগে যে সুস্থ জীবনে ছিলাম। আমি আবার আমার সুস্থ জীবনে ফিরে গেছি এখন থেকে আমি ডাঃ শফিউল্যাহ প্রধান স্যারের নিয়ম মেনে আমি আমার লাইফটাকে সতর্কতার সাথে পরিচালিত করব।

নামঃ মোঃ শফিক (ছদ্মনাম)

বয়সঃ ৪৮

ঠিকানাঃ চাঁদপুর

পেশাঃ ব্যবসা।

রোগঃ কোমর ব্যথা

২০০৫ সালে আমি আমার কোমরের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছিলাম। তখন আমার সমস্যা ছিল আমার এই কোমর থেকে ব্যথাটা বাঁ পায়ের দিকে নামতো। আমি হাঁটতে পারতাম না। আমার কোমরে এবং পায়ে প্রচন্ড ব্যথা করত। আমি যখন এই ডিপিআরসিতে চিকিৎসা নিতে আসি তখন আমাকে এম্বুলেন্সে করে হইল চেয়ারে বসিয়ে এনেছিল। আলহামদুলিল্লাহ তখন আমি ১৫ দিন এই ডিপিআরসিতে চিকিৎসা নেওয়ার পরে আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাই এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাই। এবং এই গত ১৮ বছর ধরে আমি সুস্থ আছি ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি। আজকে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে ডিপিআরসিতে এসেছি তার চিকিৎসা করানোর জন্য। তার ও আমার মতই কোমর ব্যথা।

নামঃ ওমর ফারুক (ছদ্মনাম)

বয়সঃ ৫০ বছর

ঠিকানাঃ সিলেট

রোগঃ PLID (কোমর ব্যথা)

আমি একজন প্রবাসী , আমার প্রচন্ড মাজা (কোমর) ব্যাথা ছিলো, মাজা (কোমর) ব্যথার জন্য আমি কাজ করতে পারতাম না। হাটতে পারতাম না, পায়ের মধ্যে ঝিন ঝিন করে ব্যথা করতো। অনেকটা অবশের মতো। প্রবাসে এর জন্য আমি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোনো উপকার পাই নি। এতো পরিমান অসহ্যকর ব্যথা ছিলো তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আর এদিকে কোথাও কোনো সুচিকিৎসা ও পাচ্ছিলাম না। তো একদিন ইউটিউবে ডাঃ সফিউল্লাহ স্যারের ভিডিও দেখে কেনো যেনো মনে হলো আমি DPRC আসলে সুস্থ হবো। তাই আর দেরি না করে আমি যতদ্রুত সম্ভব প্রবাস থেকে সরাসরি ডিপিআরসি তে আসি। এবং আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সুস্থ আমার কোনে ব্যথা বা ঝিন ঝিন নাই।

আমার আবার আমার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেলাম।

নামঃ মোঃ ইয়াসিন হামিদ (ছদ্মনাম)

বয়সঃ ৩০

ঠিকানাঃ চাঁদপুর

রোগঃ জিবিএস প্যরালাইসিস

প্রত্যকটা মানুষের জীবনে একটা জার্নি থাকে। সেই জার্নির মতো আমারো জীবন চলছিলো কিন্তু হঠাৎ করে আমার জীবনে একটা অন্ধকার নেমে আসলো। আমি পুরোপুরিভাবে অচল হয়ে গেলাম। শুধু মাত্র নিঃশ্বাস নেওয়া ছাড়া আমি শরীরের কোনো অঙ্গ নাড়াতে পারতাম না। অনেকটা হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম হয়তো যতোদিন বেঁচে আছি এভাবেই থাকতে হবে। কিন্তু একদিন আমার ছোট ভাই ইউটিউবে ডাঃ সফিল্যাহ্ প্রধান স্যারের ভিডিও দেখে ডিপিআরসিতে এসে খোঁজ খবর নিয়ে আমাকে জানায়। সে আমাকে সাহস দেয় আমি ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবো। আমিও মনে শক্তি ফিরে পাই। এবং ডিপিআরসি তে এসে ডাঃ সফিউল্লাহ প্রধান স্যারের তত্বাবধানে ৩ মাস চিকিৎসা নিয়েছি। এই তিনমাসে ডিপিআরসি আমাকে একজন নবজাতক শিশুকে যেভাবে লালন পালন করে হাটতে শেখায়, বসতে শেখায়, বুঝতে শেখায় ঠিক সেভাবে আমাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে। এখন আমি হাটতে পারি, হাত পা নাড়াতে পারি। আমার মনে শক্তি ফিরে পেয়েছি। আমি চিরকৃতজ্ঞ ডিপিআরসির কাছে আমাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব ই উন্নত এবং আধুনিক।

ডিপিআরসি (DPRC) তে ফ্রি রোগী দেখার ব্যবস্থা: একমাত্র ডিপিআরসিই দিচ্ছে ফ্রি কনসালটেন্সি। প্রতি শুক্রবার সকাল ৯.০০ থেকে দুপুর ১.০০ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে রোগী দেখার ব্যবস্থা। তাছাড়াও রয়েছে প্রতিদিন সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ পর্যন্ত ৫০ টাকা ভিজিটে আউটডোরে রোগী দেখার ব্যবস্থা।

দরিদ্র রোগীদের জন্য ডিপিআরসি (DPRC): একমাত্র ডিপিআরসিই দিচ্ছে দরিদ্র রোগীদের জন্য সকল পরীক্ষায় বিশেষ মূল্য ছাড়। যাতে দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণ করতে অসুবিধা না হয় এবং তারা সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে সেই সাথে যেনো দরিদ্র বলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়।

ডিপিআরসি (DPRC)’র অন্যান্য সামাজিক কার্যক্রম: ডিপিআরসি সবসময় দরিদ্র মানুষের পাশে থাকে ও তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করে। ডিপিআরসি লিঃ কর্তৃক আয়োজিত বিনামূল্যে টি-শার্ট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় পাঁচশতাধিক দরিদ্র লোকের মাঝে নিজ হাতে টি-শার্ট বিতরণ করেন ডিপিআরসি লিঃ এর চেয়ারম্যান ডা. সফিউল্ল্যাহ্ প্রধান।

ডিপিআরসি (DPRC)’র কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ডিপিআরসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বাত ব্যথা প্যারালাইসিস ও রিহেব-ফিজিও বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সফিউল্যাহ্ প্রধান বলেন, ‘এখন অনেকেই বিদেশ থেকে এসে ডিপিআরসিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ রোগী বিনা অপারেশনে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে আমরা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। যারা এখনও বিদেশে চিকিৎসার কথা ভাবছেন তাদের বলব, বিদেশ যাওয়ার আগে অন্তত একবার ডিপিআরসিতে আসুন।’

"ঢাকা পেইন ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহেবিলিটেশন সেন্টার (ডিপিআরসি)”

১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা ১২০৭। (শ্যামলী ক্লাব মাঠ, সমবায় বাজারের ঠিক উল্টো দিকে)

হটলাইন: ০৯৬৬৬৭৭৪৪১১

সিরিয়ালের জন্য ফোন: ০১৯৯৭ ৭০২০০১, ০১৯৯৭ ৭০২০০২

ই-মেইল: [email protected]

ওয়েবসাইট: www.dprcbd.com

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে