শীতে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এবার উপসর্গ শুধু জ্বর নয়। দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক নয়া সমস্যা। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আক্রান্তদের ফুসফুস। ফলে চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকদের। এ মরশুমে ডেঙ্গুর উপসর্গ কী কী?
এতদিন ডেঙ্গুর উপসর্গ বলতে ছিল, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, হাত-পা ব্যথা, বমি। এ মরশুমে ডেঙ্গু আক্রান্তদের অনেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে শ্বাসকষ্ট। কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যা মারাত্মক আকার নিচ্ছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ উপসর্গই ছিল শ্বাসকষ্ট। কোভিড মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছিল আক্রান্তদের ফুসফুস। করোনা মুক্তির পরও আক্রান্তদের বহু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গুতেও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় চিকিৎসকরাও রীতিমতো ভীত। মনে পড়ে যাচ্ছে করোনার ভয়াবহতা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের (ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাদে) বিভিন্ন হাসপাতালে সর্বোচ্চ ২২১ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৭১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১৫, খুলনা বিভাগে ১০৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৫, বরিশাল বিভাগে ৭২, রাজশাহী বিভাগে ৩২, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮, রংপুর বিভাগে ১০ ও সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯০ হাজার ৪৪০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত মাসে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ৬২৩ জন।
উল্লেখ্য, ভারতে ডেঙ্গুর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেড়ে চলেছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যভবনের তরফে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে প্লাসমোডিয়াম ভাইভাক্স ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯১১৬ জন। প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ২১২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। আগস্টের পর বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি রাজ্যের আটটি জেলার ৩১ টি ব্লক। জেলাগুলি হল, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া এবং বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্যজেলা।
যাযাদি/ এম