পতঞ্জলির তৈরি করোনিল বিশ্বের প্রথম করোনা প্রতিরোধী ওষুধ বলে দাবি করেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রামদেব। করোনিলের ‘বিজ্ঞানসম্মত গবেষণাপত্র’ প্রকাশ করে জানানো হয় ডব্লিউএইচ’র কাছ থেকেও ছাড়পত্র পেয়েছেন তারা। কিন্তু কোনো চিরাচরিত ওষুধকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ডব্লিউএইচও। আর ছাড়পত্র না থাকা ওষুধকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় আয়ুষমন্ত্রকও।
রামদেব জানান, ডব্লিউএইচ ’র কাছ থেকেও ছাড়পত্র পেয়েছেন। এমনকি সেখানে টাঙানো ব্যানারেও পরিষ্কার ভাষায় লেখা ছিল, করোনিল ডব্লিউএইচ ’র কাছ থেকে ওষুধ জাতীয় পণ্যের শংসাপত্র (সিওপিপি) পেয়েছে এবং ডব্লিউএইচ ’র গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস (জিএমপি) বিভাগ থেকেও অনুমোদিত, যারা কিনা ওষুধপত্র এবং চিকিৎসা সামগ্রীর গুণমান বিচারের দায়িত্বে রয়েছে।
রামদেবের এই ঘোষণায় শোরগোল পড়ে যায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করোনিলের গুণাগুণ বোঝাতে শুরু করেন রামদেব।
ডব্লিউএইচ’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিভাগের টুইটারে জানানো হয়, কোনো চিরাচরিত ওষুধকে কোভিড চিকিৎসার জন্য ছাড়পত্র দেয়নি তারা। ডব্লিউএইচ’র একটি দল এসে তাঁদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন রামদেব। কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য কোনো চিরাচরিত ওষুধের গুণমান বিচার করে দেখেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এমনকি তার কার্যকারিতা নিশ্চিত করে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়নি।
পতঞ্জলি কর্ণধার আচার্য বালকৃষ্ণ জানান, বিভ্রান্তি এড়াতে একটা কথা স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে করোনিলকে সিওপিপি এবং জিএমপি ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল (ডিসিজিআই) দিয়েছে। বিশ্বের সমস্ত নাগরিকের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে ডব্লিউএইচ’র।
তবে এই ঘটনায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা না দিয়ে করোনিলকে করোনার ওষুধ বলে দাবি করে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিল পতঞ্জলি। সেই সময় আয়ুষ মন্ত্রকের আপত্তিতে রাতারাতি সমস্ত বিজ্ঞাপন তুলে নিতে হয় তাদের।
যাযাদি/এসএইচ
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd