বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

বদলে যাচ্ছে আফগানিস্তান, ব্যবসা করছেন নারীরা

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২২
ছবি-সংগৃহিত

অন্য এক আফগানিস্তান দেখছে বিশ্ব। চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখ থেকে নিজেদের বদলে দেয়ার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে তালেবান। শুধুমাত্র দুর্নীতি বন্ধ করে পুরো অর্থনীতির চিত্র পাল্টে দিয়েছে। যে আফগান রুপির মান ছিল নিন্মমুখি। সেই রুপি এখন ডলারের চেয়েও দামি। নিজের উৎপাদিত পানীয় বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। এখন নারীরাও করছেন ব্যবস্যা।

জানা যায়, তালেবানের শাসনের আওতায় নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসার প্রসার ঘটতে শুরু হয়েছে। তবে এই নারী উদ্যোক্তারা পুঁজি সংগ্রহ এবং বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ন মানতে হয়। বুধবার প্রকাশিত জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউএনডিপি জানিয়েছে, তারা ৩ হাজার ১০০ নারী উদ্যোক্তার মধ্যে জরিপ পরিচালনা করেছে। তাদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ঋণ নিয়েছেন। তবে এদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ ব্যাংক বা ক্ষুদ্র ঋণের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুঁজি লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। অন্যান্যরা বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করেছেন।

জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, কিছু নিয়ম মেনে তারা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড করেছে। ৭০ শতাংশের বেশি জানিয়েছেন, তারা পুরুষ অভিভাবকের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে যেতে সাছন্দবোধ করেন।

তালেবান আনুষ্ঠানিকভাবে নারীদের কাজ থেকে নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু বিদেশি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) অনেক আফগান নারী সাহায্যকর্মীকে কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া বিউটি পার্লারগুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার নারী নিয়োজিত ছিল। তবে হালাল ব্যবস্যায় নারীদের উৎসাহিত করছে তালেবান।

ইউএনডিপির আফগানিস্তানের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন রড্রিকস গবেষণার সাথে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের পরিবারের কল্যাণের পিছনে নারীরা দীর্ঘকাল ধরে চালিকা শক্তি হিসাবে কাজ করছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থন দরকার... আফগানিস্তানের ভবিষ্যত তাদের উপর নির্ভর করছে।’

পশ্চিম হেরাত প্রদেশের আফগান উইমেনস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য সাদেকা সাদিকিয়ার জানান, তার ফলের খাবারের ব্যবসায় আটজন নারী কর্মী রয়েছে। ২০২১ সালের পর তিনি দ্বিতীয় শাখা খুলতে পেরেছেন।

তবে তিনি জানান, সস্তায় আমদানির প্রতিযোগিতা এবং ঋণের অভাবের কারণে তার ব্যবসা প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়েছে।

সাদেকা বলেন, ‘আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ হল আর্থিক সহায়তা বা সংস্থানের অভাব; যদি সংস্থাগুলো আমাদের আর্থিক সমস্যায় সহায়তা করতে পারে তবে আমরা নারীদের জন্য আরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারব এবং এমনকি আমাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারব।’

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে