গাজার শেষ হাসপাতালটিও বন্ধ। ইসরাইলি হামলার পর গাজার ক্যান্সার এবং হৃদরোগের চিকিৎসা প্রদানকারী শেষ হাসপাতালটি বন্ধ বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এক্স-এ এক বার্তায় বলেছেন, মঙ্গলবারের হামলার ফলে খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের অনুপযোগী’ হয়ে পড়েছে।
এছাড়া তিনি বলেছেন, এটি ‘এখন আর কার্যকরী নয়’, ডব্লিউএইচও’র একটি দল হামলার সময় কাজে নিয়োজিত জরুরি চিকিৎসা কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে।
‘মিশনের ঠিক আগে কাছাকাছি একটি হামলা হয়েছিল’, কর্মীদের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া তার ভাষ্য ‘হাসপাতালটি বন্ধের ফলে নিউরোসার্জারি, হৃদরোগের চিকিৎসা এবং ক্যান্সারের চিকিৎসাসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, এসব পরিষেবাগুলো গাজার অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।’
টেড্রোস বলেছেন, ‘এই বন্ধের ফলে চিকিৎসা স্থানান্তরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে এই সুবিধার ভূমিকাও শেষ হয়ে যায়, যা চাপে থাকা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে।’
ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) দাতব্য সংস্থাটিও বন্ধের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরেছে।
তারা বলেছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে এখন নাসের হাসপাতালই একমাত্র কার্যকরী হাসপাতাল। ‘এটি ছিল গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার শেষ অবশিষ্টগুলোর মধ্যে একটি।’
এতে আরও বলা হয়, ‘দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো গাজা ইউরোপীয় হাসপাতালের কয়েক ঘণ্টা আগে একই দিনে নাসেরকেও আঘাত করা হয়েছিল।’
তার বলছে, ‘অঞ্চলটির অবশিষ্ট হাসপাতালগুলো ‘প্রায়শই আংশিকভাবে কার্যকর। এই হাসপাতালটিতে ক্রমাগত রোগীরা উপচে পড়েছে।’
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের উপত্যকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ‘স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে বারবার হামলা এটি আরও উদাহরণ।’ বলেও জানান।