কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রোববার (১৫ জুন) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইরানের লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বহু প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যার কারণে ইরানি হামলার পরপরই ইসরায়েলি নাগরিকদের মাটির নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের গবেষক মুহাম্মদ সেলুম আল জাজিরাকে জানান, "ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষায় 'আয়রন ডোম' অন্যতম প্রধান উপাদান। তবে এটি মূলত স্বল্পপাল্লার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর জন্য নকশা করা। কিন্তু বর্তমানে ইরানের হামলায় হাইপারসনিক, ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ মিসাইল—যা আয়রন ডোমের সক্ষমতার বাইরে—ব্যবহৃত হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, ইরানের একের পর এক সুনির্দিষ্ট ও কৌশলগত হামলার কারণে আয়রন ডোম ব্যাপক চাপে পড়েছে এবং সময়মতো প্রতিক্রিয়া জানাতে হিমশিম খাচ্ছে।
তবে বিশ্লেষক সেলুম ইঙ্গিত দেন যে, ইসরায়েলের কাছে আরও কিছু উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে 'অ্যারো ১' ও 'অ্যারো ৩' উল্লেখযোগ্য, যেগুলো উচ্চমাত্রায় আসা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম। এছাড়াও, 'ডেভিডস স্লিং' নামের একটি মাঝারি পাল্লার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা ২০ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইরানের আক্রমণের ধরন ও প্রযুক্তিগত বৈচিত্র্যের কারণে ইসরায়েলকে নতুন করে প্রতিরক্ষা কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত দীর্ঘ হলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যয় ও কৌশলগত অবস্থান আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।