বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

খুনের পর প্রেমিকার লাশের সাথে রাত্রিযাপন! প্রেমিক গ্রেপ্তার

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭:১৯
খুনের পর প্রেমিকার লাশের সাথে রাত্রিযাপন! প্রেমিক গ্রেপ্তার
ছবি: যায়যায়দিন

ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে এলো ভারতের মধ্যপ্রদেশে। সেখানে লিভ-ইন সঙ্গিনীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার মরদেহের সঙ্গেই দু’দিন ধরে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করেছেন এক ব্যক্তি।

প্রেমিকার অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। মদের নেশায় বন্ধুর কাছে খুনের কথা ফাঁস করলে পুলিশ এসে পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের গায়ত্রীনগরে। নিহত যুবতীর নাম রিতিকা সেন, যিনি অভিযুক্ত শচিন রাজপুতের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শচিন সন্দেহ করত যে রিতিকা অন্য কারও সাথে সম্পর্কে জড়িত।

এই সন্দেহ থেকেই গত ২৭ জুন রাতে রিতিকার সঙ্গে তার প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার একপর্যায়ে শচিন রিতিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশি জেরায় শচিন খুনের কথা স্বীকার করেছে।

তদন্তে আরও জানা গেছে, অভিযুক্ত শচিন রাজপুত বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে রিতিকার সঙ্গে লিভ-ইন করছিল। রিতিকা একটি বেসরকারি ফার্মে কাজ করতেন এবং তার আয়ের উপরই শচিন নির্ভরশীল ছিল, কারণ শচিন কোনো কাজ করত না।

এই আর্থিক টানাপোড়েন এবং রিতিকার বসের সঙ্গে তার সম্পর্কের সন্দেহই তাদের মধ্যে ঘন ঘন ঝগড়ার কারণ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় শচিন নিজেই এই সন্দেহের কথা স্বীকার করেছে।

খুনের পর শচিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ফোন করে খুনের কথা জানায়। প্রথমে বন্ধুটি বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে রসিকতা ভেবেছিল।

কিন্তু শচিনের দ্বিতীয় ফোন কল এবং বারবার একই কথা বলার পর বন্ধুটি সন্দেহ করে এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের একটি দল গায়ত্রীনগরের ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছে রিতিকার পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে এবং শচিনকে গ্রেপ্তার করে।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত শচিনকে বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে