বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আগুন লাগলে নবীজি যে দোয়া পড়তে বলেছেন

যাযাদি ডেস্ক
  ০৪ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৯
আগুন লাগলে নবীজি যে দোয়া পড়তে বলেছেন

বিপদাপদ যেকোনো সময় ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে মানুষের উচিৎ বিচলিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করা।অগ্নি-দুর্ঘটনা, ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দুনিয়াবি আযাব। এসব দুনিয়াবি আযাব সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের আলোকে নির্দেশিত পন্থা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

রাসুল (সা.) বিভিন্ন সময়ে সাহাবীদের মাধ্যমে বর্ণিত হাদিসে শিখিয়েছেন উম্মতদের যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার দোয়া।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘তোমরা যখন কোথাও আগুন লাগতে দেখো, তখন তোমরা তাকবির দাও। কারণ তাকবির আগুন নিভিয়ে দেবে। (তাবরানি: ১/৩০৭)

আবুল ইয়ুস্‌র (রা.) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ দু’আ করতেন- ইয়া আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ঘর-বাড়ি ভেঙে চাপা পড়া থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি, উচ্চ স্থান থেকে পতিত হওয়ার ব্যাপার হতে, পানিতে ডুবে, আগুনে জ্বলা ও অধিক বায়োবৃদ্ধি হতে তোমার আশ্রয় কামনা করছি এবং আমি তোমার নিকট মৃত্যুর সময় শয়তানের প্ররোচনা হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি তোমার নিকট যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়নপর অবস্থায় মৃত্যু হতে তোমার আশ্রয় কামনা করি এবং আমি তোমার নিকট দংশনজনিত (সাপ, বিচ্ছুর) কারণে মৃত্যুবরণ করা হতে বাঁচার জন্য তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ: ১৫৫২)

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘আগুন যত প্রলয়ঙ্করী হোক; তাকবিরের মাধ্যমে তা নিভে যায়। আর আজানের মাধ্যমে শয়তান পলায়ন করে। (আল-ফতোয়া আল-কুবরা: ৫/১৮৮)

সুতরাং কোথাও আগুন লাগলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখিত আমলটি করা মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয়।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে