শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

৭৯ বছর পর ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক সেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায়

যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ মে ২০২৪, ০০:১০
ছবি সংগৃহিত

ইসলামী খেলাফতের পরাজয়ের পর থেকে বর্তমান তুরস্কের অধিকাংশ মসজিদকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। তখনকার শাসক কামাল আতাতুক মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘ ৮০ বছর পর সেইসব মসজিদ আবারও আগের রূপে ফিরেছে। সে সময় নিষিদ্ধ করা হয় আরবী শিক্ষা, আজান ও ইসলামী শিক্ষা। কিন্তু সেই সেকুলার নীতি বেশি দিন টিকতে পারেনি।

জানা যায়, দীর্ঘ ৭৯ বছর পর পবিত্র জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হলো তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ঐতিহাসিক কারিয়া মসজিদে। গত শুক্রবার (১৯ মে) মসজিদটিতে অনুষ্ঠিত জুমার নামাজে অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে গত সোমবার (৬ মে) পুনঃনির্মাণের পর মসজিদটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

২০২০ সালের আগস্টে দীর্ঘ দিন জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এ মসজিদটিকে পুরনো রূপে নিয়ে আসার ঘোষণা দেন এরদোগান। এরপর শুরু হয় এর পুনঃনির্মাণের কাজ। অবশেষে চার বছর পর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় ফের এটি মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হলো।

মূলত চতুর্থ শতাব্দীর শুরুর দিকে কারিয়া স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয় একটি চার্চ হিসেবে। পরে ওসামনিয়া শাসক সুলতান দ্বিতীয় বায়জিদের শাসনামলে প্রধান উজির আতিক আলি পাশার নির্দেশে এটিকে মসজিদে রূপ দেয়া হয়।

এরপর চার শতাব্দীরও অধিক সময় এটি মসজিদ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কিন্তু ওয়াসমানিয়া খেলাফত বিলুপ্তির পর আয়া সোফিয়ার মতো এটিকেও ১৯৪৮ সালে জাদুঘর বানিয়ে ফেলে তৎকালীন ইসলাম-বিরোধী তুর্কি সরকার।

দীর্ঘ দিন পর গত শুক্রবার মসজিদটিতে জুমার নামাজ আদায় করতে পেরে বেশ উল্লসিত এখানে সমাগত মুসল্লিরা। এদিন তারা তাকবির ধ্বনিতে মসজিদ ও এর প্রাঙ্গন আন্দোলিত করে তোলেন। মসজিদের অভ্যন্তর, সামনের চত্বর ও আশপাশের সড়কগুলোও মুসল্লিদের সমাগমে মুখরিত হয়ে ওঠে। সূত্র : টিআরটি ও আনাদোলু এজেন্সি

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে