চীন এমন একটি রাষ্ট্র যে রাষ্ট্রের কোনো খবর বাইরের দুনিয়ায় আশা প্রায় অসম্ভব। তবুও কিছু কিছু খবর বিদেশী মিডিয়া মাঝে মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করে। বিশেষ করে চীনে বসবাসরত মুসলিমদের জন্য দেশটির আইন মোটের সুবিধার নয়। সব সময় সে দেশের আইন তাদের হয়রানির মধ্যে রাখে। অবাধে ধর্ম পালনের কোনো সুযোগ নেই। গোপনে পালন করতে গেলেও বাধার কবলে পড়তে হয়। পেতে হয় শাস্তি। এইদিকে চীন পুরোনো সব ইসলামী স্থাপনার নকশা ও চিহ্র মুছে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শাদিয়ানের বড় মসজিদের আকৃতি পাল্টে দেওয়ার মাধ্যমে চীন সরকারের গত পাঁচ বছর ধরে চালানো সিনিফিকেশন তথা চীনা সংস্কৃতির প্রভাব বিস্তার ও অন্য সংস্কৃতি মুছে দিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত করার কার্যক্রমের অংশ। খবর গার্ডিয়ানের।
২০২২ সালের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, সেই বছর গম্বুজটি সরিয়ে সেখানে হান চীনাশৈলীর প্যাগোডা ছাদ নির্মাণ করা হয়। মিনারগুলো ছোট করে প্যাগোডা টাওয়ারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। শুধু এই সমজিদই নয়, ইউনানের অন্য ঐতিহ্যবাহী মসজিদ নাজিয়াইংয়েরও ইসলামিক বৈশিষ্ট্য মুছে ফেলা হয়েছে।
২০১৮ সালে চীন সরকার একটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রকাশ করে। পরিকল্পনার অংশ ছিল বিদেশি স্থাপত্যশৈলী প্রতিরোধ করা এবং ইসলামিক স্থাপত্যগুলোকে চীনের বৈশিষ্ট্যে রূপান্তর করা।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ফাঁস হওয়া একটি নথিতে দেখা যায়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘বেশি ধ্বংস এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলতে’ হবে।
যাযাদি/ এস