শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঠান্ডায় গরম বাড়ছে সর্দি-জ্বর

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৪

জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল হিসেবে মাঘ মাসেই গরমের আভাস। এক দিকে তাপমাত্রার ওঠানামা, অন্য দিকে বাতাসে ভাসমান ধুলোয় বাড়ছে অ্যালার্জির প্রকোপ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালার্জি থেকে সর্দিকাশি ও জ্বর হচ্ছে।

একই সঙ্গে ঠান্ডাগরমের কারণে ভাইরাল ফিভার বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। অ্যালার্জির কারণে সর্দিজ্বর হোক বা ভাইরাসের কারণে, উপসর্গ প্রায় একই রকম। নাক দিয়ে পানি ঝরা, হাঁচি, খুসখুসে কাশির সঙ্গে জ্বর। একটা তফাৎ আছে— তা হল ভাইরাস জ্বর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেরে যায়, কিন্তু অ্যালার্জি ভোগায়।

কী করণীয়

ডাক্তারদের পরামর্শ, জ্বর-সর্দি হলেই তাড়াহুড়ো করে অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়া। অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে। লাগাতার সর্দি-হাঁচি-জ্বর চলতে থাকলে অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। জ্বর-সর্দি হলে নাকে স্যালাইন ড্রপ, অ্যান্টিঅ্যালার্জিক, গরম পানিতে গার্গল করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এতেই উপকার পাওয়া যায়। কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকলে তা খাওয়া বন্ধ করা উচিত।

চিকিৎসকের মতে, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের পাশাপাশি অনেক সময় জটিল কোনও রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবেও জ্বর আসে। ইউরিন ইনফেকশন, টনসিলাইটিস, আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, ফুসফুসের প্রদাহ কিংবা নিউমোনিয়া অথবা মেনিনজাইটিসের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবেও জ্বর হতে পারে।

আবার টিউবারকুলোসিস গাউট, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, কোনও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, লিম্ফ গ্ল্যান্ড ও রক্তের ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসার হলেও প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে লাগাতার জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই টানা বা বারে বারে জ্বর হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত। ডায়রিয়ার মতোই জ্বর হলেও ডিহাইড্রেশন হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই সময় বারে বারে পানি পান করা প্রয়োজন।

এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে