সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

যে ব্যায়ামে কমবে তলপেটের মেদ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৪০

চান বা না চান, তলপেটের মেদ ঠেকানো বড় কঠিন। তবে মেদ হওয়ার পুরোটা আবার নিজের নিয়ন্ত্রণেও থাকে। হরেক রকম জিন থেকে শুরু করে দুশ্চিন্তার (স্ট্রেস) কারণেও তলপেটে মেদ জমে। তাই মেদের হাত থেকে রেহাই পাওয়াটাও এত সোজা নয়।

তলপেটে মেদ মানে কী? কেবল মধ্যপ্রদেশে মেদ নয়, এই মেদের অবস্থান আরও গভীরে। ত্বক পেরিয়ে নিচে একেবারে অন্ত্রগুলোর চারপাশে পেঁচিয়ে থাকে চর্বির ঘন স্তর। অন্য জায়গার মেদের তুলনায় তলপেটের মেদের চরিত্রও আলাদা, এরা খুব সক্রিয় ও বেজায় চটপটে। রক্তের ভেতর প্রবেশ করে। রক্তের গøুকোজ আর কোলেস্টেরলের ওপর পড়ে এই মেদের কুপ্রভাব। তাই আপনার পেটের ঘের কমাতে হবে। পেটের ঘের পুরুষের জন্য ৪০ ইঞ্চি আর নারীদের ৩৫ ইঞ্চির কম হলে ভালো। কয়েকটি ব্যায়াম করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু রাতারাতি কোমর, ঊরুর মেদ ঝরে যাবে না। ধীরে ধীরে তা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

স্কোয়াট্স

পা এবং কোমরের পেশি মজবুত করতে এটিই সবচেয়ে সহজ একটি উপায়। এই ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে দুই পা ফাঁকা করে দাঁড়ান। এ বার দুই হাত টান টান করে সামনে রেখে, হাঁটু ভাঁজ করে অর্ধেকটা বসতে চেষ্টা করুন। প্রতি দিন ২ থেকে ৩ সেট করুন। ধীরে ধীরে আরও সংখ্যা বাড়াতে পারেন।

লাঞ্জেস

লাঞ্জেস খুব ভাল স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ। থাই ও হ্যামস্ট্রিং, দুই-ই টোনড হবে। একটি পা সামনে এগিয়ে হাঁটু ভাঁজ করতে হবে, আর একটা পা পিছনে দিয়ে স্ট্রেচ করে বসার মতো করে শরীরটা আপ-ডাউন করতে হবে। কাঁধ যেন সোজা থাকে। এটি প্রথমে ১০টি করে প্রতি পায়ে তিন বার যথেষ্ট।

স্টেপ-আপ্স

হাঁটুতে কোনও বড় ধরনের অসুখ না থাকলে অর্থাৎ সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা একেবারে বারণ না হলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার অভ্যাস কিন্তু বজায় রাখতে হবে। হাতে দুই লিটারের পানিভর্তি বোতল নিয়ে সিঁড়ির ধাপের সামনে প্রথমে বাঁ পা তুলে উঠুন। তার পর ওই পা নামিয়ে ডান পা তুলুন ও নামান। এভাবে মোট ২৪ বার ওঠানামা করতে হবে।

ব্রিজ

প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দুটো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।

প্লাঙ্কস

ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দু’টিকে সামনের দিকে ভাঁজ করে কাঁধ বরাবর রাখুন। এ বার হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে ঠেলে তুলুন। শরীর উপরে তোলার সময়ে পায়ের শরীরের সমস্ত ভর থাকবে হাতের তালু ও পায়ের বুড়ো আঙুলের উপর। বাকি শরীরটা হাওয়ায় ভাসবে। কনুই যেন ভাঁজ না হয়, সেই দিকে নজর রাখুন। পেটও টেনে রাখবেন ভিতরের দিকে। প্রথম প্রথম দশ সেকেন্ড এমন করে থাকা অভ্যাস করুন। তার পর আয়ত্তে এলে ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে