কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে স্ট্রোক এই সব কিছুর পিছনে বড় কারণ হতে পারে শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রা। বিশেষজ্ঞদের মতে,, মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব। তবে তার জন্য প্রয়োজন কিছু নিয়ম মেনে চলা।
খাওয়া-দাওয়া
ধূমপান-মদ্যপান ছাড়ুন
কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার পিছনে সিগারেট খাওয়ার বদভ্যাস দায়ী। ধূমপান ছেড়ে দিলে ধীরে ধীরে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। বিশেষজ্ঞ্রা জানাচ্ছেন, ধূমপান ছাড়ার ৩ মাসের মধ্যে দেহে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গেলে মদ্যপান ছাড়তে হবে।
ওজন কমানো
মেদ না ঝরালে কোলেস্টেরলকে বাগে আনা সম্ভব নয়। আজকাল স্থূলতার সমস্যা ঘরে ঘরে। আর এই স্থূলতাই হাজার এক ধরনের ক্রনিক অসুখ ডেকে আনে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, অলস জীবনযাপন ছাড়তে হবে। তবেই কোলেস্টেরল সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি কমাতে হবে।
শরীরচর্চা
সপ্তাহে কমপক্ষে ৫ দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ব্যয়াম করতেই হবে। যোগব্যায়াম করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এলডিএল কোলেস্টেরল কমার পাশাপাশি এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ে। কোলেস্টেরল কমাতে আপনি যে কোনও ধরনের কায়িক পরিশ্রম করতে পারেন।