শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

বর্ষায় পেট খারাপ এড়াতে ছাড়তে হবে যেসব খাবার

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ জুন ২০২৫, ১৯:২১
বর্ষায় পেট খারাপ এড়াতে ছাড়তে হবে যেসব খাবার
ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মের স্তব্ধ ও অগ্নিক্ষরা সময়ের পর শান্তির বার্তা নিয়ে আসে বর্ষাকাল। প্রচন্ড দাবদাহে প্রকৃতি যখন অতিষ্ট তখন ঝরঝর ধারায় বৃষ্টি এসে জানিয়ে দেয় বর্ষা এসে গেছে। আকাশে শোনা যায় মেঘের আওয়াজ। বৃষ্টির পানিতে গাছপালা ও জীবজন্তু যেন ফিরে পায় প্রাণ। সবুজে শ্যামলে ভরে যায় প্রকৃতি।

এ সময় বাঙালির মন উড়ু উড়ু করে। বৃষ্টি পড়লেই খেতে ইচ্ছা করে নানা রকম ভাজাপোড়া। বৃষ্টি দিনে যেন উৎকৃষ্ট সঙ্গী হয়ে ওঠে মুখরোচক সব খাবার। কিন্তু এ সময় বুঝেশুনে খেতে হবে খাবার। কেননা বর্ষায় খাবার ও পানি থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়া এ সময় দেখা দিতে পারে পেট খারাপের মতো সমস্যাও। তাই আসুন জেনে নিই বর্ষাকালে পেট খারাপ এড়াতে যেসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে-

পাতাযুক্ত সবুজ শাক-সবজি পালং শাক, লেটুস এবং বাঁধাকপির মতো পাতাযুক্ত শাক-সবজি সাধারণত স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। তবে বর্ষায় এসব খাবারই হতে পারে সমস্যার কারণ। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে ও আর্দ্র অবস্থায় নানা রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু পাতাজাতীয় সবজিকে নিজেদের আদর্শ প্রজনন স্থল বানিয়ে নেয়। ফলে ভেজা অবস্থার কারণে পাতাযুক্ত শাক সহজেই ময়লা, জীবাণু ও পোকার ডিম দ্বারা দূষিত হতে পারে। এগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করা কঠিন, যার ফলে পেটের সংক্রমণ এবং ডায়রিয়ার মতো খাদ্যজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

সামুদ্রিক খাবার

বর্ষায় এড়িয়ে চলা উচিত কিছু মাছ ও চিংড়ির মতো সামুদ্রিক খাবার। এর দুটি প্রধান কারণ হলো- বর্ষাকালে পানিতে রোগজীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি মাছকে সংক্রামিত করতে পারে। এছাড়া এই প্রজনন ঋতুতে সামুদ্রিক খাবারে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে, যা খেলে পেটের ক্ষতি হতে পারে।

মিষ্টি পেটের সমস্যা থাকলে বর্ষায় মিষ্টি খাবার একটু কম খান। বিশেষ করে ভাজা মিষ্টি মানে জিলিপির খাবার খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য একেবারে ভালো নয়। তাই যত মিষ্টি এড়িয়ে চলবেন তত ভালো।

চা-কফি কম খান অনেকেই বৃষ্টির দিনে ঘন ঘন চা-কফি খেতে ভালোবাসেন। এটা ঠিক নয়। কারণ এই আবহাওয়ায় যত বেশি চা-কফি খাবেন, পেটের সমস্যা তত বাড়বে।

মাশরুম মাশরুম মূলত স্যাঁতসেঁতে মাটিতে জন্মায়। ফলে এতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যদিও মাশরুম রান্নায় ব্যবহারের আগে ভালো করে প্রক্রিয়াজাত করে নেওয়া হয়, তবুও সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই বর্ষায় মাশরুম না খাওয়াই ভালো।

দুগ্ধজাত খাবার পুষ্টিবিদদের মতে, দুধে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজের ঘাটতি মেটায়। কিন্তু বর্ষায় দুগ্ধজাত খাবার খেলে পেট খারাপের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ দুধে থাকা ল্যাক্টোজ সহজে হজম হতে চায় না।

বাইরের খোলা খাবার রাস্তার ধারের খাবার প্রস্তুত এবং পরিবেশন করা হয় খোলা পরিবেশে। এ ধরনের খাবার বৃষ্টির পানি এবং মাছির মাধ্যমে দূষিত হতে পারে। রাস্তার খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত পানি বিশুদ্ধ নাও হতে পারে, যা কলেরা এবং টাইফয়েডের মতো জলবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। রাস্তার খাবার খাওয়ার পরিবর্তে, পরিষ্কার, তাজা উপাদান এবং নিরাপদ রান্নার অভ্যাস ব্যবহার করে বাড়িতে একই ধরনের স্ন্যাকস তৈরি করুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে