শীতে ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মশার উৎপাত। এতে চলমান জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে বাসায় ফিরে রাতে বিছানায় শুয়ে মশার উপদ্রবে আর ঘুম হয় না। এছাড়া মশা বিভিন্ন রোগের জীবাণু বয়ে বেড়ায়। এর কামড়ে জ্বরসহ এলার্জি সমস্যাও হয়।
এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে আমরা অনেকে ব্যবহার করি মশার কয়েল বা স্প্রে। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। এছাড়া একটি তথ্য জানলে হয়তো অনেকেই আঁতকে উঠবেন, মশা তাড়ানোর এসব ওষুধ শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এসব গন্ধযুক্ত ওষুধের কারণে হতে পারে শ্বাসকষ্ট।
তবে এ নিয়ে আর চিন্তা নয়, আপনি চাইলেই ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে পারেন মশার উৎপাত। তাহলে আর দেরি কেনো? আসুন জেনে নিই মশা তাড়ানোর সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়।
একটি পাত্রে বা ফয়েল পেপারে অল্প পরিমাণ কফি বিছিয়ে এর ওপর জ্বলন্ত কয়লার ছোট টুকরো রেখে দিতে হবে। এ ধোঁয়া চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে মশা তো দূর হবেই সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নেবে সব ধরণের পোকামাকড়ও।
মশার দৃষ্টিশক্তি রয়েছে। এরা বিশেষ কিছু রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয়। মশা সাধারণত কালো, লাল এবং নীল রঙ খুব বেশি পছন্দ করে। তাই এর উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘরের মধ্যে এ ৩টি রঙের পোশাক, আসবাবপত্র বা গৃহস্থালি পণ্য পরিহার করা ভালো।
মশা তাড়াতে প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্পূর। প্রায় সব ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায় কর্পূর ট্যাবলেট। এর যথোপযুক্ত ব্যবহারে মশা দূর হবে নিমিষেই। প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে এর মধ্যে কর্পূর ট্যাবলেটটি ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেটি ঘরের এক কোণে রেখে দিতে হবে। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে মশা দূর হয়ে গেছে। কারণ কর্পূরের গন্ধ মশা একেবারেই সহ্য করতে পারে না।
মশার চরম শত্রু রসুনের গন্ধ। এ গন্ধ মশার কাছে খুবই অসহনীয়। তাই একটি পাত্রে পানি নিয়ে এর মধ্যে রসুনের কয়েকটি কোয়া ছেড়ে কিছুক্ষণ ফুটাতে হবে। এরপর সেই পানি সারা ঘরে ছিটিয়ে দিতে হবে। তাতেই মশা থাকবে দূরে।
যাযাদি/ এমডি
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd