বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা লালমনিরহাট বিমানবন্দর। এক বিমানঘাঁটি নিয়েই ঘুম হারাম নরেন্দ্র মোদির।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানবন্দরটি ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ সরকার নির্মাণ করে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। একসময় এটি ছিল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর।
একদিকে পাকিস্তান অন্যদিকে নেপাল, সাথে ভুটান,শ্রীলঙ্কা তো আছেই। এবার বাংলাদেশ থেকে চেপে ধরার আশঙ্কায় দিশেহারা দিল্লি।
দিল্লির সেবাদাসী হাসিনার পতনের পর ভারতের চোখে চোখ রেখে একের পর এক পদক্ষেপে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মোদি এখন পাগলপ্রায়। ভারত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জমের মতো যে ভয় পায়, ভারতীয় মিডিয়ার অতিরঞ্জিত খবর ও রাজনীতিবিদদের হুঙ্কার শুনলেই তা বোঝা যায়।
বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি সম্ভাব্য মাল্টিফাংশনাল বিমানঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, মূলত এমন খবরেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভারত। এই বিমানবন্দরটিকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটি ভারতের 'চিকেন নেক' করিডোরের নিকটবর্তী হওয়ায় দিল্লির উদ্বেগ বাড়ছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা ও উদ্বেগ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। কিছু মিডিয়া দাবি করেছে, প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ থাকলে এটি ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। অন্যদিকে, ভারতের এই উদ্বেগ ও হুমকিকে পাত্তায় দিচ্ছে না বাংলাদেশ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুব্রত সাহা দাবি করেছেন, চীনের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বাংলাদেশ লালমনিরহাটের পুরনো বিমানঘাঁটি পুনরায় সচল করতে যাচ্ছে—এ নিয়ে ভারত এখন পুরোপুরি নিশ্চিত। তার ভাষায়, এটি ভারতের কৌশলগত ভারসাম্যের জন্য একটি বড় হুমকি, বিশেষ করে শিলিগুড়ি করিডোরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলের খুব কাছে হওয়ায়।
আনন্দবাজার পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাহা বলেন, “প্রয়োজনে বাংলাদেশেও অপারেশন সিঁদুরের মতো সামরিক অভিযান চালানো হতে পারে। গুড়িয়ে দেয়া হবে সেনাঘাঁটি বা বিমানঘাঁটি।”
এদিকে, বাংলাদেশি বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় কৌশলগত হাব, যা সামরিক ও বেসামরিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহারযোগ্য হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সবসময়ই স্পষ্ট ভাষায় জানানো হচ্ছে, “বাংলাদেশ নিজের স্বার্থে নিজের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে কী করব, তা নিয়ে অন্য কোনো দেশের অনুমতির প্রয়োজন নেই।”