রাজনীতি

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, ‘নির্বাচিত সরকারের প্রতি যাদের আস্থা নেই, তাদের জনগণের হয়ে কথা বলার অধিকার নেই।’

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংক্ষিপ্ত বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে এনডিএম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ইঙ্গিত করে ববি হাজ্জাজ বলেন, খাওয়া আগে না কাপড় পরা আগে, এটা কী আসলে কোনো রিজেনেবল আলোচনা? একটার সঙ্গে আরেকটির কী সম্পর্ক? একটি সরকারের অনেকগুলো দায়িত্ব থাকে। আপনি যদি এখন বলেন, নির্বাচন আগে না আপনাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব এটা আগে। আপনাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব এটা আগে, না আপনাদের ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেব এটা আগে? আপনাদের ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছে দেব না রাস্তায় ট্রাফিক কন্ট্রোল করবো এটা আগে? রাস্তায় ট্রাফিক কন্ট্রোল করবো না আপনাদের পুলিশ প্রশাসন সুন্দর করে যাতে আপনারা আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা পান- এটা আগে? এ ধরনের প্রশ্ন করলে আপনি কী সরকারের কথা শুনতেন, আপনি মানতেন? তাহলে এই কথাটি কেন মেনে নেন?

তিনি আরও বলেন, কিছু তরুণ এসে, যারা দুনিয়া দেখেনি, যারা জীবনে কখনো চাকরি করেনি, ব্যবসা করেনি, রাজনীতি করেনি, কিচ্ছু করেনি, আজকে একটি চাকরি চালাতে দিলে পারবে কিনা আপনি জানেন না, হয়তো পারবে, কিন্তু আপনি জানেন না। তারা এসে না বুঝে একটি কথা বলছে, এটা আগে না ওইটা আগে। বিচার ব্যবস্থা কেমনে হয় তারা জানে? গত ১৫ বছর হাসিনা আমাদের ওপর একটির পর একটি মামলা দিয়েছে। আমরা উকিল না হলেও, শিখে যেতে বাধ্য হয়েছি বিচার ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে। কারো বিচার করতে চান, সঠিকভাবে বিচার করতে চান, বছরের পর বছর চলে যাবে। আর আপনি বলছেন, নির্বাচিত সরকার এলে বিচার করবে না। মানে নির্বাচিত সরকারের প্রতি আপনাদের কোনো আস্থা নেই।

শহীদ জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা বিএনপির

ববি হাজ্জাজ বলেন, আর যেই মুহূর্তে আপনি বলবেন, নির্বাচিত সরকারের ওপর আস্থা নেই, সেই মুহূর্তে আপনি বলছেন, বাংলাদেশে ১৮ কোটি জনগণ কাকে ভোট দেবে, তারা কী চায়- এটার ওপর আপনার কোনো আস্থা নেই। আর যেই মুহূর্তে আপনি বলবেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের ওপর আস্থা নেই, সেই মুহূর্তে আপনার কোথাও বসা, দাঁড়ানো, কথা বলার কোনো অধিকার নেই। সুতরাং এভাবে যারা কথা বলছে, আমি পরিষ্কার তাদের বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের হয়ে কথা বলার অধিকার অনন্ত তাদের নেই। এই অধিকার যদি অর্জন করতে চান, ভোট দেন, ভোট নিয়ে আসেন। তখন আপনি বলবেন, আমরা চুপ করে শুনবো।