"নিউজল্লাই মাইর হাইয়েযে হইত্তারনা সারাদেশত" সারাদেশে সাংবাদিক মার খেয়েছে সেটা কি জানো। চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে একটি পরিবারকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছেনা এ সংবাদ পেয়ে আত্মপক্ষের বক্তব্য নিতে গেলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ইদ্রিছ নামে এক ব্যক্তি।
সাংবাদিক দেখেই কোন প্রশ্ন করার আগেই এ নিয়ে কোন নিউজ করতে পারবেনা। তোমাকে কে আনছে নিউজ করতে। নিউজ করতে আমি বাধা দেয়ার পরও কেন প্রশ্ন। তুমি কি জানোনা সারাদেশে সাংবাদিকরা মার খাচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া মুছার দোকান এলাকার জিন্নাত আলী তালুকদার বাড়ি প্রকাশ ইসমাইল বলির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই বাড়ির হুমকি দাতাদের সাথে পার্শ্ববর্তী একটি পরিবারের জায়গা সংক্রান্ত দ্বন্দ চলছিল। সম্প্রতি হুমকিদাতা ও তার দুই সহোদর প্রবাস থেকে বাড়ি ফেরে। বাড়ি ফিরেই পার্শ্ববর্তী মকবুল আহমেদের সাথে দ্বন্দে জড়ায়।
এক পর্যায়ে টাকা ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অসহায় ওই পরিবারের বসতঘরের সামনে চলাচলের পথে পাকা দেয়াল তুলে চলাচলে বাধা প্রদান করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাটহাজারী মডেল থানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। পরে কয়েকজন সংবাদকর্মী বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনার সত্যতা জানতে ও আত্মপক্ষের বক্তব্য নিতে ঘটনাস্থলে কাতার প্রবাসী ইদ্রিছ ও তার অপর সহোদর দুবাই প্রবাসী রফিক তাদের হুমকি ও হেনস্থার চেস্টা করে।
এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিকরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। হাটহাজারী সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি মো. আসলাম পারভেজ বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে একজন সাংবাদিকের ঘটনার সত্যতা যাছাই এবং আত্মপক্ষের বক্তব্য নিতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে তথ্য উদঘাটনে এভাবে হুমকি ও হেনস্থার শিকার অত্যন্ত দুঃখজনক।
সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি একইসাথে ওই ঘটনার বিচার দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।