সংবাদ কর্মীরা সবর্দা নিজেদের জীবন বাজি রেখে সত্য তুলে ধরার চেষ্টায় ব্রত থাকে। অথচ তাদের জীবন তেমন রঙিন নয়। সংবাদ কর্মীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুভূতি..
.
সংবাদকর্মীরা মানুষের কথা বলে
সংবাদ হল কোন ঘটনার সঠিক ও পরিপূর্ণ তথ্য। আর সে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় একজন সংবাদকর্মী। তার লেখনীর প্রজ্ঞা থেকে একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট একটি বিষয় বা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। পৃথিবী আদিকাল পেরিয়ে বহুদূরে পৌঁছেছে। আধুনিক এই যুগকে অনেকে নাম দিয়েছেন তথ্যের যুগ বলে। এখন যার যত বেশী তথ্য সন্নিবেশিত আছে সেই তত শক্তিশালী। আর এই তথ্য অনুসন্ধান করে একজন সাংবাদিক। সাংবাদকর্মী জনগণের স্বার্থে, জনগণের জন্য তার সংবাদ তৈরি করে এবং একই সঙ্গে এই সংবাদের মাধ্যমে মানুষের কথাগুলো তুলে ধরে। রাষ্ট্রের বিধি নিষেধে অনেকক্ষেত্রে মানুষের কন্ঠ রোধ হয়। সে সময় মানুষের কথা বলে থাকে একজন সংবাদকর্মী ও একটি সংবাদপত্র। যার মাধ্যমে মানুষ, সমাজ ও দেশ আলোকিত হয়।
এবিএস ফরহাদ শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মতপ্রদানের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ( ৩মে ) তারিখকে 'ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে'র ( বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতিবছর ৩মে 'বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ' পালন করা হচ্ছে ।
গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হলো জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তবে নানান কারনে সাংবাদিকেরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক পরিস্থিতির শিকার হন।স্থানীয় পর্যায়ে যারা জাতীয় বা স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন, তাদের অধিকাংশই নিয়মিত কোনো সম্মানী পান না। দু-একটি পত্রিকা সম্মানী প্রদান করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। অনেক সময় দেখা যায় যে, নিরাপত্তা জনিত কারণে সংবাদ পাঠানো থেকে বিরত থাকেন অনেক স্থানীয় সাংবাদিক।
সংবাদপত্রের সাথে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের জীবনমান উন্নয়ন, নিরাপত্তা প্রদান এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ আবশ্যক। ডিজিটাল বাংলাদেশকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই।
ফাহিমা আক্তার শিক্ষার্থী ; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নির্ভরযোগ্য সংবাদ চাই
প্রতিদিনের প্রতি মুহুর্তের নির্ভরযোগ্য সংবাদ লিখে আমাদের কাছে পৌঁছে দেন তাকেই মূলত গণমাধ্যম কর্মী অথবা সাংবাদিক বলে থাকি। সৎ ও নিষ্ঠার সাথে সংবাদ প্রচার করে সমাজকে বদলে দিচ্ছে। যেকোনো সময় জাতির বিবেক গণমাধ্যম কর্মীরা পেশার পাশাপাশি সততার সাথে কাজ করে দেশের অগ্রগতি ও দুর্নীতিকে সামাজের কাছে তুলে ধরে। প্রতিদিন জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সম্পাদকীয়, দেশ, গ্রাম,স্বাস্থ্য,খেলাধুলা সহ সকল খবর গণমাধ্যম কর্মীরা তুলে ধরেন। তাদের কর্মযজ্ঞ আমাদের সচেতন হতে সাহায্য করে। চ্যালেঞ্জিং এই পেশায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ কখনো যুদ্ধের ময়দান, হরতাল অবরোধ কখনো মহামারী। সর্বোপরি তারা কেবল গণমাধ্যম কর্মী নয় তারা আমাদের বন্ধু। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যুগে সংবাদপত্রের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আধুনিক যুগে গণমাধ্যম কর্মীদের কঠিন চ্যালেঞ্জ সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নির্ভরযোগ্য সংবাদ সততার সাথে প্রকাশ করুন এমনটাই প্রত্যাশা করি।
মো:ইসরাফিল আলম রাফিল শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মান করুন
গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। এই দর্পণকে সচল রাখে গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা তাদের কার্যকর্ম দিয়ে প্রান্তিক জনগণের বন্ধু হতে সক্ষম হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা সাধারণ মানুষের মত প্রকাশে সাহায্য করে।তাদের বৈচিত্র্যময় জীবনে আনন্দের চেয়ে বেদনার মুহূর্ত প্রবল। তারা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও আমাদের সত্য তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে। ব্যক্তি মানুষের বাক স্বাধীনতা রক্ষায় তারা কাজ করে ।বলতে হয়, পরোক্ষভাবে তারা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করে থাকে। গণমাধ্যম কর্মীরা রাষ্ট্রের দোষ ত্রুটি তুলে ধরেন ফলে সরকার ও আমলাদের কাজে জবাবদিহিতা আসে। এভাবেই আমাদের দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি লাভ করে।এই পেশা বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে নীতি-নৈতিকতার সাথে যতটা সম্পৃক্ত করে ততটা অন্য কোন পেশায় সম্ভব না। খবরের কাগজ প্রতি ভোরে বিশ্বকে পৌঁছে দিয়ে মানুষের ঘরে। গণমাধ্যম কর্মীরা নানা প্রান্তের নানা খবর আমাদের ঘরে পৌঁছে দেয় ফলে আমাদের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ হয়। আমাদের মনের পরিধি বিস্তৃত হয়। সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার প্রশ্নে এখনো এই গণমাধ্যম কর্মীরাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মাটি ও মানুষের কাছে। সত্যকে তুলে ধরে মিথ্যা কে হত্যা করতে তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। প্রকৃতপক্ষে তারাই আমাদের সত্যিকারের বন্ধু।
নূরজাহান মিম শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
গণমাধ্যম কর্মীরা আমাদের বন্ধু
সংবাদ ও সাংবাদিক শব্দ দুটি পরিপূরক।সাংবাদিকদের মাধ্যমে ওঠে আসে সংবাদ এবং সেই সংবাদের মাধ্যমে কোনো দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও সীমাবদ্ধতার বিষয়টি জনসম্মুখে পরিস্ফুটিত হয়। সেই সুদূর অতীত কাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বের আজকের এই অগ্রযাত্রা এবং বিভিন্ন পদক্ষেপে নিরীহ সাধারণ মানুষের আত্মগ্লানির সুস্পষ্ট চিত্র গণমাধ্যম কর্মীরা বিশ্বের সম্মুখে তুলে ধরে আসছেন।আর তারই এক জ্বলন্ত প্রমাণ মেলে "কোভিড-১৯" নামক প্রাণঘাতী ভাইরাস আঘাত হানে সেই সংকটকালীন সময়েও গণমাধ্যম কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বের খবরা-খবর জনসম্মুখে তুলে ধরেছেন।তবে জনসাধারণের সাথে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ স্থানী করার জন্য তাদেরকে আরও কর্মতৎপর এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ সংবাদ প্রকাশে একনিষ্ঠ হতে হবে। তবেই সমুন্নত থাকবে বিশ্ব, এগিয়ে যাবে সমগ্র দেশ ও দেশের মানুষ।
আতিক হাসান অন্তর শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
যাযাদি/ এস