বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

নব্বইয়ের পর থেকেই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই : জিএম কাদের

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:০০
নব্বইয়ের পর থেকেই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই : জিএম কাদের
নব্বইয়ের পর থেকেই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই : জিএম কাদের

৯০ সালের পর থেকেই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি। জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় এই উপনেতা বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে সংসদীয় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে একদিকে বৈষম্য বেড়েছে, অপরদিকে জবাবদিহিতা নেই কোথাও। স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে আমাদের বৈষম্য ছিলো কিন্তু ৯০ সালের পর থেকে দেশের মানুষের সাথে বৈষম্য করছে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে। দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে দলীয়করণ চলছে। উপজেলা পর্যায়ের নেতারাও হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে তারাই চাকরী ও ব্যবসায় সুযোগ পাচ্ছে কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এরশাদই সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলনের আইন করেছিলেন। অনেক ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়ন হলেও উচ্চ আদালতে এখনো পুরোপুরি বাংলা প্রচলন হয়নি। তিনি বলেন, একুশের ধারাবাহিকতায় মুক্তির জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু এখনো আমরা মুক্তি পাইনি। জাপা চেয়ারম্যান আরো বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে সংবিধানে ৭০ ধারা সংযোজনের কারণে সরকার প্রধানের অধীনে দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও নিম্ন আদালত। আবার উচ্চ আদালতের নিয়োগ থেকে অনেক কিছুই সরকার প্রধানের প্রভাব থাকে, যাতে কোনমতেই গণতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব নয়। তাই ৯০ সালের পর থেকেই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার,কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচ.এম. শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ইকবাল হোসেন তাপস, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন। পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের-এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে