নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় নেতাকর্মীদের ডেকে অঝরে কাঁদলেন খন্দকার রুহুল আমিন।

বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার হিরাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে নিজে কাঁদলেন ও নেতাকর্মীদের কাঁদালেন।

উপস্থিত নেতাকর্মীদের তিনি বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়েছেন। দল মনোনয়ন না দেয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রাথী হয়েছেন। ভোটে নেমে ভোটারদের ও নেতাকর্মীদের অসংখ্য ভালবাসা পেয়েছেন। রাজনীতির মাঠে আপনারা আগামী দিনেও আমার সাথে থাকবেন। আমিও আপনার সাথে থাকবো।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ রুহুল আমিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

তালায় জমে উঠছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ 

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে নোয়াখালী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন খন্দকার রুহুল আমিন।

তাকে প্রতীকও বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শফিকুর রহমান।তাতে সাড়া না পেয়ে ২০ ডিসেম্বর রিট করেন তিনি। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই সংস্থার প্রতিবেদনে খন্দকার রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রমাণ মেলে। তাই তার প্রার্থিতা বাতিলে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে ২৭ ডিসেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া বাতিল আদেশ বহাল রয়েছে।

যাযাদি/এস