রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

দলীয় স্বার্থ পরিহার করে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যমত হতে হবে: বুলবুল

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ জুন ২০২৫, ১৯:৪২
দলীয় স্বার্থ পরিহার করে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যমত হতে হবে: বুলবুল
ছবি: যায়যায়দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যমত হতে হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বন্ধু প্রতিম একটি রাজনৈতিক দল অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐক্যমত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব বিষয় নিজের মনমতো কিংবা দলের পছন্দানুযায়ী হয় না, হওয়া সম্ভব নয়। জাতীয় স্বার্থে দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিআইবি) হলরুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পেশাজীবি বিভাগের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া। এজন্য সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে আইন শৃঙ্খলা, জনপ্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা সহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র শক্তিকে ব্যবহার করেই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছিলো। যেখানে বিদ্যমান আইনে প্রধানমন্ত্রীর সীমাহীন ক্ষমতা। রাষ্ট্রপতি জানাজা আর কবর জিয়ারত ব্যতিত নিজে কোন কাজ করতে পারেন না এমনকি কোন কথাও বলতে পারেন না। তাঁকে কিছু বলতে হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যা লিখে দিবে তাই বলতে হয়। এজন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য করতে হবে। এজাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার রাজনৈতিক সরকার করবে না বিধায় অন্তবর্তীকালীন সরকারকে এসব সংস্কার করতে হবে। ৫ আগস্টের পর থেকে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ষড়যন্ত্রকারীরা নানান দাবি নিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চক্রান্ত করে আসছে। জামায়াতে ইসলামী সংস্কারের প্রশ্নে সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে। আজ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী দলীয় স্বার্থে কোন দাবি সরকারের কাছে উত্থাপন করেনি।

তিনি আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের বৈঠক হওয়া স্বাভাবিক। তবে বৈঠক শেষে ঐ দলের সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের চাওয়া অনুযায়ী নির্বাচন এগিয়ে আনার ঘোষণা অস্বাভাবিক। এই ঘোষণায় সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষনে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে আবার সব দল ও জাতিকে উপেক্ষা করে একটি মাত্র দলের ইচ্ছানুযায়ী নির্বাচন এগিয়ে আনার ঘোষণায় সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এই সংকট থেকে উত্তোরনের জন্য সরকারকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং জাতির সামনে সরকারের নিরপেক্ষতা পরিস্কার করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে