গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দেওয়া নিষেধাজ্ঞার পর শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে। যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে, তাদের একটি অংশ তা দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। ফলে দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির আদেশ দেখা যাচ্ছে।
মূল্যসূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা কোম্পানিটির শেয়ারের এমন ক্রেতা সংকট ও দরপতন দেখা দেওয়ায় সার্বিক শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে। লেনদেনে যেমন ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, তেমনই ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে মূল্যসূচক। ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সংযোগে গ্রাহকদের ‘মানসম্মত সেবা দিতে না পারার’ কারণ দেখিয়ে গত বুধবার (২৯ জুন) গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বিটিআরসি। এরপর বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই দিনের সর্বনিম্ন দামে কোম্পানিটির বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির আদেশ আসতে থাকে। অপরদিকে শূন্য হয়ে যায় ক্রয় আদেশের ঘর। এতে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ২৯৪ টাকা ১০ পয়সা।
বৃহস্পতিবারের মতো চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও লেনদেন শুরু হতেই দিনের সর্বনিম্ন দামে গ্রামীণফোনের বিপুল শেয়ার বিক্রির চাপ আসে। এতে লেনদেনের শুরুতেই দাম কমার সর্বনিম্ন সীমায় চলে যায় কোম্পানিটির শেয়ার।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd