বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের দুটি ইউনিটের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিটি প্লান্ট ২ ও ৪-এর যন্ত্রপাতি সরিয়ে প্লান্ট ১ ও ৩-এ স্থানান্তর করা হয়েছে। ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের কমপ্লায়েন্স ইস্যু নিয়ে জটিলতার কারণে এ স্থানান্তর করা হয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিটি।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা। এদিকে আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬৬, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬২ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬২ পয়সায়।
২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ১ পয়সা। মূলত লোকসানের কবলে পড়ার পর থেকেই অর্থাৎ ২০১৮-১৯ হিসাব বছর থেকে টানা চার বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের জানুয়ারিতে তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে আসা জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের অনুমোদিত মূলধন ১২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮১ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। পুঞ্জীভ‚ত লোকসান রয়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৯। এর মধ্যে ৩৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২১ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৪১ দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৯ টাকা থেকে ৯ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে লেনদেন হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম