শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্ট্রাকোর বন্ডে লকড-ইনে ছাড় বিএসইসির

যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৩
ইন্ট্রাকোর বন্ডে লকড-ইনে ছাড় বিএসইসির

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসির কনভার্টিবল বন্ডের ইউনিট শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে লকড-ইন মেয়াদের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি বিএসইসির সম্মতিপত্রে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কনভার্টিবল বন্ড লকড-ইনের কিছু শর্তের কথা জানানো হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, পাবলিক অফারে বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে শেয়ারে রূপান্তরে কোনো লকড-ইন থাকবে না। বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের (উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে) মধ্যে রাইট অফারে এ বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে শেয়ারে রূপান্তরে লকড-ইন প্রযোজ্য হবে না। তবে প্রাইভেট অফারে এ বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে শেয়ারে রূপান্তরের ক্ষেত্রে দুই বছরের লকড-ইন প্রযোজ্য হবে। এছাড়া পাবলিক অফার, রাইট অফার ও প্রাইভেট অফারে কোম্পানিটির বিদ্যমান উদ্যোক্তা পরিচালকদের জন্য এ বন্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে শেয়ারে রূপান্তরের পর দুই বছর লকড-ইন থাকবে।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং কনভার্টিবল বন্ডের ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন ১০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। শেষ হবে ১৬ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪টায়। কোম্পানিটির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য এ সাবস্ক্রিপশন চলছে।

তথ্যমতে, বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা ২০ কোটি টাকা মূল্যের এ বন্ডের জন্য সাবস্ক্রিপশন করতে পারবেন। মোট বন্ড সংখ্যা ৪০ হাজার। বন্ডটির অভিহিত মূল্য ৫ হাজার টাকা। ইস্যু মূল্যও একই। ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশনের পরিমাণ ১ লাখ টাকা বা এর গুণিতক। সাবস্ক্রিপশনের সর্বোচ্চ সীমা রাখা হয়নি। বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড (সিবিসিআরএল)।

গত বছরের অক্টোবরে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছিল বিএসইসি। এর মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৩৫ কোটি (বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ কোটি ও অন্যান্য বিনিয়োগকারীর জন্য ১৫ কোটি টাকা) ও ১৫ কোটি টাকা পাবলিক অফারের মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে।

বন্ডটি রূপান্তরযোগ্য ও পুরোপুরি অবসায়নযোগ্য। অর্থাৎ এটি শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে। এ বন্ডের মেয়াদ সাত বছর। আলোচিত বন্ডটি কুপনযুক্ত। কুপন হার ৭ শতাংশ। অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে বন্ডধারীকে প্রাপ্য কুপন দেয়া হবে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেই এ বন্ড সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করতে পারবে। বন্ডটির মাধ্যমে কোম্পানিটি সংগৃহীত অর্থ তিনটি সিএনজি স্টেশন, পাঁচটি এলপিজি স্টেশন ও পাঁচটি মাদার-ডটার সিএনজি স্টেশন স্থাপনের কাজে ব্যবহার করবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে