শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৯
বিএটিবিসির পর্ষদ সভা ৮ ফেব্রুয়ারি

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটিবিসি) পর্ষদ সভা ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হবে। গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। সমাপ্ত হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির গ্রস আয় হয়েছে ২৯ হাজার ৩৪৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৬ হাজার ৫৭১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৩৫৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৩২৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আলোচ্য তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ২৪ টাকা ৫১ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৩৭ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বিএটিবিসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ২৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের মোট ২৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ১৫০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত ও বাকি ১২৫ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশ। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএটিবিসি। এর মধ্যে ৩০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ অন্তর্র্বতীকালীন নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ওই হিসাব বছরের জন্য ৮০০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

বিএটিবিসি ১৯৭৭ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা এবং কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনও একই। রির্জাভে রয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, দশমিক ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, ১৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সা।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে