রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
চুক্তির মেয়াদ শেষ

ডরিন পাওয়ারের ফেনী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩০
ডরিন পাওয়ারের ফেনী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ

তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের ফেনীতে অবস্থিত ২২ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাত থেকে বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বলে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

তথ্যানুসারে, গত বছরের ২৭ ফেব্রæয়ারি ডরিন পাওয়ারের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে, যা এখনো বিবেচনাধীন। ফেনীর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পিপিএর মেয়াদ ১৫ ফেব্রæয়ারি শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বা মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এর উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এর আগে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে নরসিংদীতে অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গত ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে টাঙ্গাইলে অবস্থিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ২ টাকা ৮৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৬ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৯৪ পয়সায়।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের পর্ষদ। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৯ টাকা ২১ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৪৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৭ টাকা ৪৬ পয়সা।

২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ স্টকের পাশাপাশি উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছিল ডরিন পাওয়ারের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৩১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১৫ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ডরিন পাওয়ার। এর মধ্যে সব শেয়ারহোল্ডারকে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।

এছাড়া উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে বাকি শেয়ারহোল্ডারদের ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা। এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২২ পয়সায়।

২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ডরিন পাওয়ার। এর মধ্যে ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির সকল শেয়ারহোল্ডাররা। আর ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের। ওই হিসাব বছরে কোম্পানিটির সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মোট ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন।

সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে, ডরিন পাওয়ারের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং প্রকাশের দিন পর্যন্ত কোম্পানিটির অন্যান্য গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেট লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।

২০০৮ সালের নভেম্বরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন্স অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দান ও সাউদার্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ডরিন পাওয়ার ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি ও পরিশোধিত মুলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭০২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯০২। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে