শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের ৫০১ নাম্বার জয়, ফখরের টানা ৩ সেঞ্চুরি 

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৬

একটি দলের বিপক্ষে টানা তিন সেঞ্চুরি। তাও আবার শেষটিতে প্রায় ২০০শ' কাছাকাছি। মানে গতকাল ১৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান ফখর জামান। আর তার এই বিধ্বংসী ইনিংসের ওপর ভর করে সফররত নিউ জিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

জানা যায় নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথামকে সঙ্গী করে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন প্রথম ওয়ানডের সেঞ্চুরিয়ান ড্যারিল মিচেল। তবে বৃথা গেছে কিউইদের হয়ে মিচেলের ১২৯ রানের সেই অনবদ্য ইনিংস। শনিবার একদিনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ পুঁজি পেয়েও স্বাগতিকদের কাছে হারের স্বাদ পেতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডের।

এদিন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের তাণ্ডবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে রেকর্ড গড়ে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে বিশাল রানের পাহাড় গড়ে কিউইরা। তাদের দেওয়া ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাবর আজমের দল। দারুণ এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

শনিবার খেলার শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের হয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেন ড্যারিল মিচেল। ১১৯ বলে ১২৯ রানের সেই ইনিংসে তিনি মারেন ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। ক্যারিয়ারে এটি মিচেলের টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে তৃতীয় সেঞ্চুরি। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

তাছাড়াও বাওয়েস ৭টি চারের মার মেরে করেন ৫১ রান। আর নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ৮৫ বলে ৯৮ রানের লড়াকু ইনিংস। সবশেষ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রানের পাহাড়সহ রান পায় সফরকারীরা। পাকিস্তানের হয়ে ৭৮ রান খরচে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন হারিস রউফ। আরেকটি উইকেট নেন নাসিম শাহ।

তবে নিউ জিল্যা্ন্ডের দেওয়া ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান তুলেন ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। ২৬ বলে ২৪ রান করে ইমাম আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাবর আজমকে সঙ্গী করে স্কোরবোর্ডে ১২২ বলে ১৩৫ রান যোগ করেন ফখর। এই জুটিই দলকে জয়ের আভাস জোগায়। তবে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বাজে সর্ট খেলে আউট হন।

৬৬ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৬৫ রান করে পাকিস্তান অধিনায়ক আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ৪ নাম্বারে নামেন আবদুল্লা। তবে আবদুল্লা ১৪ বলে ৭ রান করে আউট হয়ে নামের পাকিস্তানের টি-২০র উদ্বোধনী ব্যাটার রেজওয়ান। আর এর পর শুরু হয় ফখর ও রিজওয়ান তাণ্ডব। সবশেষ এই দুই ব্যাটারের হার না মানা ইনিংসে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ১৪৪ বলে ১৭ চার ও ৬ ছয়ে ১৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর। আর রিজওয়ান মাত্র ৪১ বলে ৬ চারে করেন ৫৪ রান।

উল্লেখ্য, এবারই প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেটে কিউইদের বিপক্ষে তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেল বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। এর আগে ২০০৩ সালে লাহোরে ২৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে