ম্যাচজুড়ে আক্রমণের ঝড় তুলল লিভারপুল। প্রথমার্ধে দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া দলটি বিরতির পর জালের দেখা পেল আরও দুবার। চেলসিকে অনায়াসে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে অবস্থান সংহত করল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বুধবার রাতে লিগ ম্যাচে চেলসির বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতেছে লিভারপুল। রাতের অপর ম্যাচে বার্নলিকে ৩-১ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি
২২ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে লিভারপুল। ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে ম্যানসিটি। তবে পেপ গার্দিওলার দল অবশ্য একটি ম্যাচ কম খেলেছে। আর ২২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে তিনে আছে আর্সেনাল। ব্রেন্টফোর্ডকে ৩-২ গোলে হারানো টটেনহ্যাম হটস্পার ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে অ্যাস্টন ভিলা। আসরে ২২ ম্যাচে নবম হারের স্বাদ পাওয়া চেলসি ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১০ নম্বরে।
ডারউইন নুনেজের আক্ষেপের রাতে দাপুটে ম্যাচ উপহার দিয়েছে ক্লপের দল লিভারপুল। নুনেজ প্রথমার্ধে সাতটি শট নিলেও ২৩ মিনিটে প্রথম গোলদাতা ছিলেন দিয়াগো জটা। ব্র্যাডলির পাসে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জাল কাঁপিয়েছেন। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ব্র্যাডলি। তাতে লিভারপুলের হয়ে রাহিম স্টার্লিংয়ের পর সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে এক ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্টের নজির তৈরি করেছেন তিনি।
অলরেডদের আধিপত্য বিরতির পরও বহাল থাকে। ৬৫ নিটে সোবোসলাই এনে দেন তৃতীয় গোল। ৭১ মিনিটে চেলসির এনকুনকু একটি গোল শোধ দিলে ৮ মিনিট পর তার জবাব দেন লুইস দিয়াজ। স্কোর ৪-১ করেন তিনি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলে অ্যানফিল্ডে লিভারপুল এখনো অপরাজিত। ক্লপের বিদায়টা স্মরণীয় করে রাখতে সর্বোচ্চটা করছে তারা। লিভারপুলের এই জয়টা আবার ক্লপের অধীনে ২০০তম। আগ্রাসী মানসিকতায় খেলে এদিন তার দল শট নিয়েছিল ২৭টি। তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১২টি। যার বেশিরভাগ ছিল নুনেজের।
স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক কনর ব্র্যাডলি। একটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রাখেন তিনি। একটি করে গোল করেন দিয়োগো জটা, দমিনিক সোবোসলাই, লুইস দিয়াসও।
এদিকে আর্লিং হাল্যান্ডের ফেরার ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি ৩-১ গোলে বার্নলিকে হারিয়েছে। জন্মদিনে জোড়া গোল করেছেন ম্যানসিটির আর্জেনন্টাইন ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজ। একটি গোল করেন রদ্রি।
যাযাদি/ এস