সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামাবাদ পিএসএলের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন 

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৮
ছবি-সংগৃহিত

বিশ্বের সেরা ক্রিকেট তারকাদের নিয়ে দল গঠন করে মুলতানের সুলতান। লক্ষ্য ছিলো এবারের আসরে পিএসএলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু টানা চারবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিতলে পারলো না। এবারো গেরো কেটে বের হতে পারল না মুলতান। আরো একবার সেই একই চিত্র, একই গল্প, আবারো স্বপ্নভঙ্গ। আরো একবার ফাইনালে হার, এই নিয়ে টানা চারবার! বিপরীতে অর্ধযুগের অপেক্ষা ঘুচাল ইসলামাবাদ, শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে করেছে শিরোপা পুনরুদ্ধার।

পিএসএলের এবারের আসরে গতকাল রাতে ফাইনালে মুখোমুখি হয় মুলতান ও ইসলামাবাদ। করাচিতে শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচে আগে ব্যাট ৯ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে মুলতান। জবাবে শেষ বলে এসে ২ উইকেটের জয় তুলে নেয় ইসলামাবাদ। আসর সর্বোচ্চ তৃতীয়বারের মতো পিএসএলের শিরোপা দখলে নেয় তারা।

এদিকে সর্বশেষ চার আসরের প্রতিবার পিএসএলের ফাইনাল খেলেছে মুলতান সুলতান। তবে প্রথম আসর বাদে আর কোনো বার শিরোপা ছোঁয়া হয়নি মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের। গত দুই আসরে লাহোরের কাছে ফাইনাল হারের পর এবার ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কাছে হাতছাড়া হলো শিরোপা।

মুলতান মূলত পিছিয়ে পড়ে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বড় পুঁজি না পাওয়ায়। শুরুতেই তাদের চাপে ফেলে দেয় ইসলামাবাদ। ২ ওভারে ১৪ রানে তুলে নেয় জোড়া উইকেট। দুটো উইকেটই নেন ইমাদ ওয়াসিম। সব মিলিয়ে ইনিংসে মাত্র ২৩ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। যেখানে আটকা পড়ে মুলতান।

ইয়াসির খান আর ডেভিড উইলির বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান আর উসমান খান প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। রিজওয়ান ২৬ বলে ২৬ রানে শাদাব খানের শিকার হলে ভাঙে জুটি। তবে এরপর ফের তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মুলতানের ইনিংস।

উসমান খান একপ্রান্ত আগলে ৪০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেললেও জনসন চার্লস, উসামা মির বা খুশদিল শাহদের কেউ পারেননি থিতু হতে। শেষ দিকে ইফতেখার ২০ বলে ৩২* রান করলে দেড় শ' পাড়ি দেয় মুলতান। ইমাদের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি ৩ উইকেট নেন শাদাব খান।

জবাব দিতে নেমে ৮.১ ওভারে মাত্র ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইসলামাবাদ। কলিন মুনরো ১৭ ও আগা সালমান ফেরে ১০ রানে। দু'জনকেই ফেরান খুশদিল। আর শাদাব খানকে (৪) ফিরিয়ে চাঞ্চল্য শুরু করেন ইফতেখার।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মার্টিন গাপটিল ও আজম খান মিলে যোগ করেন ২৮ বলে ৪৭ রান। ৩২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েই রান আউট হয়ে ফেরেন গাপটিল। দলীয় ১৫.৩ ওভারে ১২১ রানে ফেরেন আজম খান। ২২ বলে ৩০ করেন তিনি।

এরপর দ্রুত হায়দার আলি ৫ ও ফাহিম আশরাফ ১ রানে ফিরলে ১৭.১ ওভারে ১২৯ রানে ৭ উইকেট হারায় ইসলামাবাদ। ফলে জমে উঠে ম্যাচ, ছড়াতে শুরু করে শিহরণ। ইমাদ ওয়াসিম মাঠে থাকলেও অপরপ্রান্তে ছিলেন না স্বীকৃত ব্যাটারদের কেউ।

তবে সব সমীকরণ দূরে ঠেলে দেন নাসিম শাহ। তার ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের খুব কাছে পৌঁছায় ইসলামাবাদ। আর শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন নাসিম সহোদর হুনাইন শাহ। ১৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থেকে শিরোপা নিয়েই মাঠ ছাড়েন ইমাদ।

ফাইনাল ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম। আর দলকে শিরোপা জিতিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন শাদাব খান। আসরে ১৪ উইকেটের সাথে নবম সর্বোচ্চ ৩০৫ রান আছে ইসলামাবাদ অধিনায়কের।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে