এপ্রিলে ব্যাট-বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে। সেই পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন।এবার তার সামনে আইসিসির স্বীকৃতির হাতছানি।
আইসিসির মাস সেরা ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন মিরাজ। প্রথমবারের মতো আইসিসির প্লেয়ার অব দ্য মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। তার সঙ্গে তালিকায় রয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউ জিল্যান্ডের বেন সিয়ার্স।
সোমবার (৫ মে) আইসিসি পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের এপ্রিলের মাস সেরা খেলোয়াড়দের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে। নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস, স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অর্জনের ঝুলি ‘টইটুম্বুর’ ছিল মিরাজের। সিলেটে ম্যাচ হারলেও মিরাজ দুই ইনিংসে ৫টি করে উইকেট পেয়েছিলেন। ম্যাচে ১০ উইকেট নিজের কাজটা ঠিকটাক করেছিলেন। চট্টগ্রামেও মিরাজ ধরে রেখেছিলেন ছন্দ। ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। বল হাতে নিয়েছিলে ৫ উইকেট।
টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তোলেন মিরাজ। সেঞ্চুরির পথে তুলে নিয়েছিলেন সাদা পোশাকে ২ হাজার রান। ২ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলে নাম লিখিছেন সাকিবের পর। এছাড়া একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট শিকারি বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হয়েছিলেন তিনি। আবার সিরিজে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটারও হয়েছেন। আলো ছড়িয়ে এবার আইসিসির স্বীকৃতির অপেক্ষায় বাংলাদেশের তারকা।
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুরাজাবানি সিরিজে জিম্বাবুয়ের শীর্ষ উইকেট শিকারি ছিলেন।২০.৫০ গড়ে নিয়েছেন ১০টি উইকেট। এছাড়া কিউই পেসার বেন সিয়ার্সও দারুণ ফর্মে ছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওয়ানডেতে ৯.৩০ গড়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি ছিল ৫.০৭। হয়েছিলেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।
যাযাদি/ এসএম