গত বছর ভারতের বিপক্ষে সবশেষ বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর আর লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। যদিও মাঝে দেশের মাটিতে অবসর নিতে চাইলেও তীব্র আন্দোলনের কারণে ফিরতে পারেননি দেশে। পরে বোলিং নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন মাঠের বাইরে।
বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর পর পিএসএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন সাকিব। বাংলাদেশের ক্রিকেটে কি ফিরতে পারবেন? দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের সঙ্গে বোর্ডের সম্পর্ক শেষ নয় বলেই জানালেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান। তবে এই অলরাউন্ডারকে কবে দেখা যাবে বাংলাদেশ দলে বা আদৌ দেখা যাবে কি না, প্রশ্নটির উত্তর সময়ের হাতে ছেড়ে দিলেন তিনি।
সর্বশেষ পাকিস্তান লিগে খেলেছেন লাহোরের হয়ে, জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে অবশ্য সাকিবসুলভ পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। সাকিবের মাঠে ফেরার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাকে কী আর দেখা যাবে জাতীয় দলের জার্সিতে। আজ সোমবার (২৬ মে) এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় সাকিবের সঙ্গে বিসিবির চ্যাপ্টার ক্লোজ কি না।
ক্রিকেটে ফেরার পর বাংলাদেশ দলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নও ফিরে আসছে। গুলশানে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সমাপনীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার বললেন, সাকিবকে আরও কিছু ম্যাচে দেখতে চান তিনি।
‘ডেফিনিটলি নট (সম্পর্ক শেষ নয়)। আমাদের যে ম্যানেজমেন্ট আছে, টিম ম্যানেজমেন্ট, টিম সেট আপ- আর সাকিব তো প্রথম টুর্নামেন্ট খেলল শোধরানোর পর। সেটা সামনে দেখার ব্যাপার। তবে সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। যে কোনো দলের জন্য সে একটা সম্পদ। আমাদের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় সবসময় থাকে। সাকিব শুধরে যে এলো, এরপর মাত্রই তো দুটি (তিনটি) ম্যাচ খেলল। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে দিন, তখন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।’ এমন মন্তব্য করলেন বিসিবির পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের অবস্থা যাচ্ছেতাই। দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে একটি টেস্টে পরাজয়ের পর কদিন আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে তারা হেরেছে টি২০ সিরিজ। এর মধ্যে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দীর্ঘদিন পর ১০ নম্বরে নেমে যাওয়ার দুঃসংবাদও এসেছে।
এর চেয়ে তলানিতে নামার আর সম্ভব নয়। বিসিবির এই পরিচালকের আশা, সময়ের সঙ্গে পারফরফরম্যান্সের উন্নতি হবে। ইফতেখারের কথায় ফুটে উঠল,‘ অ্যালার্মিং তো পরের কথাৃ। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স একটা বড় ইস্যু জনপ্রিয়তার জন্য। আপনাদের বুঝতে হবে যে, এই মুহূর্তে আমাদের দলটা নত্নু। চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার (সাকিব, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ) চলে যাওয়ার পর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, প্রতিভা আছে। আগেও বলেছি, অ্যাপ্লিকেশনের অভাব। যত ম্যাচ খেলবে, তারা উন্নতি করবে।’