ফেনী নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ৮কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিতকয়েকটি সেতু।
নির্মানের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও তৈরী হয়নি দুই পাশে সংযোগ সড়ক । এতে জন ভোগান্তি চরমে ওঠেছে, সেতুগুলো এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছেনা। স্থানীয়রা চান দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মান করে সেতু গুলো চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।
এছাড়াও ফেনী নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে জায়লস্কর ও ওমর পুর সংযোগ সেতু। চার বছর আগে প্রায় নয় কোটি টাকা ব্যায়ে স্হানীয় সরকার এলজিইডির অধীনে সেতুটিনির্মাণ করা হয়েছে। সেটিও জনগনের কাজে আসছেনা। ঠিকাদার বাবলু জানান মালিকানা জায়গায় কেউ কাজ করতে দিচ্ছে না। সরকার ক্ষতিপুরন না দেওয়ায় তারা কাজে বাঁধা দিচ্ছে। জেলা প্রশাসক কার্য্যলয়ে ফাইল আটকা পড়ে আছে অনেকদিন থেকে জানান ঠিকাদার বাবলু।
ফেনীর এলজি ইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল ফারুক জানান আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে সেতু গুলো চালু করে দেয়া হবে। এর মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান করে দেয়া হবে।
এদিকে , জেলার দাগনভূইয়া উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের আশ্রাফপুর ও মোমারিজপুরের জনগণের উপকারার্থে আশ্রাফপুরে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ছোট ফেনী নদী উপর ৬০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজটি শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ছালেহ আহমদ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ব্রীজের একপাশে কৃষি জমি ও অন্যপাশে রাস্তা সংলগ্ন জনবসতি থাকাতে ব্রীজের সংযোগ সড়ক নির্মান করা যাচ্ছে না। তাছাড়া নদী তট থেকে গড়ে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার সেতুটির সড়ক সংযোগ করা কষ্টসাধ্য হবে।
স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসি জানান , সেতু নির্মান হওয়ার খবরে আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও এর দুই পাশে রাস্তা নির্মান না হওয়ায় আমরা হতাশ। সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মান না হওয়ায় পাশের কাঠের ব্রীজ দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রায়সময় স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা নদীতে পড়ে যায়। আমরা দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, আমাদের এলাকায় উক্ত ব্রীজ নির্মান করে উন্নয়ন করতে গিয়ে আমাদের আরো ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে নদী ভাঙনে আমাদের অনেক পরিবার নি:স্ব হয়ে গেছে। এরপরেও যদি ব্রীজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক থাকতে তাহলেও হতো কিন্তু রাস্তা নির্মান না হওয়ায় এখন আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবী করছি যাতে দ্রুত ব্রীজের সংযোগ সড়কটি নির্মান করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হারিছ আহমদ পেয়ার জানান, আমরা জানিনা ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কি হিসেবে এত উঁচু ও রাস্তার সংযোগ না দিয়ে এটি অনুমোদন করলেন? এখন আগামী বর্ষার আগে দ্রুত দুই পাশে রাস্তা নির্মান নাহলে মাতুভূঞা ও বেকের বাজারগামী লোকজন মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হবেন। তিনি দ্রুত রাস্তা নির্মানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স,ম আজহারুল ইসলাম জানান, "রাস্তা না থাকলে ব্রীজটি জনগণের উপকারে আসবেনা। এ বিষয়ে উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের বিস্তারিত জানানো হয়েছে।