সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে হার, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বড় লজ্জাগুলোর একটি। শারজাহতে খেলতে গিয়ে স্বাগতিকদের কাছে রীতিমত নাকাল হয়েছে টাইগাররা, সিরিজ খুইয়েছে ২-১ ব্যবধানে। তবে পাকিস্তান সফরে এই হারই নাকি ইতিবাচকভাবে কাজে লাগবে। এমনটাই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খোদ প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে এমন হার নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ। আমিরাতের সঙ্গেই যদি না পারে, পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কী করবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নও উঠছে। তবে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ সিমন্স এভাবে ভাবতে রাজি নন। তার কথা, হার অনেক সময় দলকে উল্টো উজ্জীবিত করে। পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ জেতার সুযোগ আছে, এমন আশার বাণীও শোনালেন সিমন্স।
লাহোরে আগামীকাল (২৮ মে) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথমটি। তার আগে অনুশীলনের ফাঁকে সিমন্স কথা বললেন সিরিজ নিয়ে। আমিরাত বিপর্যয় প্রসঙ্গে কোচ তেতে উঠার কথা বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাছে সিরিজ হারটা ছিল কঠিন। তবে কখনও কখনও এসবও দলকে জাগিয়ে দেয়। আশা করি, এটা (আমিরাতের কাছে হার) দলকে চাঙা করে তুলবে। আমাদের মনোবল দুর্দান্ত।’
সিমন্স জানান আমিরাতের কাছে হারলেও লিটন দাসরা মানসিকভাবে ফুরফুরে মেজাজে আছেন। কাজেই পাকিস্তানকে হারানোর সুযোগও দেখছেন তিনি, ‘মনোবল দারুণ, খুব ভালো মানসিকতায় আছে ওরা। আমি মনে করি, এই সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ আছে।’
টেইটের সংযুক্তি, মুাস্তাফিজের অভাব
বোলিং আক্রমণে পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশের ভালো-মন্দ দুই রকমের খবর আছে। পেস বোলিং কোচ হিসেবে একদিকে দলে যোগ দিচ্ছেন শন টেইট। আবার আইপিএলে চোট পেয়ে এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
টেইটের যোগ দেওয়ায় দল ঋদ্ধ হলো মনে করেন সিমন্স, ‘আমি মনে করি, শট টেইট দারুণ এক সংযুক্তি। শুধু বোলারদের জন্যই নয়, গোটা দলের জন্যও।’
একই সঙ্গে মুস্তাফিজ না থাকার ঘাটতি যে বাংলাদেশ টের পাবে সেটা আড়াল করেননি কোচ, ‘তার (মুস্তাফিজ) অভাব তো অনুভূত হবেই। সে এখন দলের সিনিয়র পেসার। এছাড়া আইপিএলে যেভাবে বোলিং করেছে, আমরা তাকে অবশ্যই মিস করব। তবে এটা অন্য একজনের জন্য সুযোগ এগিয়ে আসার এবং এই সিরিজে তার জায়গা নেওয়ার।’
‘কাউকে না কাউকে সেই দায়িত্বটা নিতে হবে। আশা করি, কোনো একজন বোলার এগিয়ে আসবে এবং বলবে যে, আমি এই সিরিজে ফিজের ভূমিকা পালন করব।’