হামজা চৌধুরীর পর সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা সামিত সোমকে ঘিরে। কানাডা নয়, জাতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেওয়া সামিত হতে পারেন বাংলাদেশের মাঝমাঠের অন্যতম কান্ডারি। হামজার সঙ্গে মিলে মধ্যমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেবেন তিনি, এমনটাই প্রত্যাশা বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন শমিত। আজ বুধবার (২৮ মে) ২৬ সদস্যের প্রাথমিক দল দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায় সিঙ্গাপুরকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। এর আগে ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে খেলবে প্রস্তুতি ম্যাচ।
দল ঘোষণার পর বিকেলে বাফুফে ভবনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সেখানে শমিতের প্রশংসা করেন তিনি। কানাডার লিগে খেলা এই ফুটবলার বাংলাদেশের শক্তি বাড়াবে বলে জানান কাবরেরা।
শমিতকে নিয়ে কাবরেরা বলেন, ‘সে ভালো ফুটবলার। অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশ দল এখন ভীষণ শক্তিশালী। সামিত এলে তা আরও বাড়বে। আমরা তাকে নিয়ে আশাবাদী।’
তিন প্রবাসীর মধ্যে সামিত কাভারলি এফসির মিডফিল্ডার, হামজা সবশেষ ধারে শেফিল্ড শিল্ডে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলেছেন এবং সেরি ডি’র দল অবলিও কালসিওর ফাহামেদুল ফরোয়ার্ড। সামিত ও হামজার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের মাঝমাঠ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দলগুলোর চেয়ে শক্তিশালী মনে হচ্ছে কাবরেরার।
“সামিত মানসম্পন্ন মিডফিল্ডার। তবে তার ব্যাপারে আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। কেননা, ৪ তারিখে ঢাকায় এসে সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সে খুবই অল্প সময় পাচ্ছে। কানাডা থেকে থেকে লম্বা ভ্রমণ করে আসবে, এখানকার কন্ডিশন ভিন্ন, তবে আমরা তাকে নিয়ে ইতিবাচক।”
ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচকে ঘিরে বাংলাদেশের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হবে আগামী ৩০ মে। ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন ফাহমিদুল ইসলাম। হামজা-সামিতও আসবেন খুবই দ্রুত।