ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে দশ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে এবার ইতালিয়ান ফুটবলে পা রাখলেন কেভিন ডি ব্রুইন। সিরি আ চ্যাম্পিয়ন নাপোলি বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে তার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে।
এই মৌসুম শেষে ম্যানসিটি ছাড়েন ডি ব্রুইন। পেপ গার্দিওলার অধীনে বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ৩৩ বছর বয়সি এই বেলজিয়ান।
বয়স ৩৩। খুব যে বেশি তা নয়। ফর্মও পড়েনি। তবু সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার এবং ম্যানসিটির উত্থানের অন্যতম নায়ক কেভিন ডি ব্রুইনিকে ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি। দলটির সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল। কেবল ইনজুরি প্রবণতার কারণে চুক্তি নবায়ন করেনি সিটিজেনরা।
ফ্রি এজেন্টে ওই কেভিন ডি ব্রুইন ইতালির লিগ চ্যাম্পিয়ন নাপোলিতে যোগ দিয়েছেন। অ্যান্তোনি কন্তের দলের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে তার। বৃহস্পতিবার রাতে চুক্তিপত্রে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করেছে দুই পক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রুইনের মেডিকেল সম্পন্ন করার জন্য নেপলসে উড়ে যান।
এরপর নাপোলি তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বেলজিয়াম তারকা ডি ব্রুইনের সঙ্গে চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। লিখেছে, ‘কেভিন নাপোলির একজন হতে পেরে গর্বিত।’ নাপোলি আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলবে। দলে অভিজ্ঞতা যোগ করতে ডি ব্রুইনকে প্রধান লক্ষ্য ধরেছিল ক্লাবটি।
ডি ব্রুইন ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি তাকে দলে নিতে চেয়েছিল। এছাড়া সৌদি প্রো লিগ থেকে আকর্ষণীয় প্রস্তাব ছিল তার হাতে। প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলাও চোখ রাখছিল তার ওপর। তবে ডি ব্রুইন শেষ পর্যন্ত নাপোলির ডাকে সাড়া দিয়েছেন।
তার ইউরোপে থেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ সেরা ছন্দে থেকে বেলজিয়ামের হয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা। নাপোলিও অবশ্য প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার নিয়ে দারুণ একটা প্রজেক্ট দাঁড় করিয়েছে। ম্যানইউ-এর বাতিল স্কট ম্যাকটমিনে, সাবেক চেলসি, ম্যানইউ’র বেলজিয়াম স্ট্রাইকার লুকাকু আছেন সেখানে।
ম্যানসিটিতে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতেছেন ডি ব্রুইন। এছাড়া দুটি এফএ কাপ শিরোপা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছেন একটি। ১৭৭ গোল বানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ১০৮ গোল করেছেন তিনি। এছাড়া দুইবার হয়েছেন মৌসুম সেরা।