নিউজিল্যান্ডের ক্লাবের সঙ্গে ইউরোপের ক্লাবের কতটা পার্থক্য জানতে চান? তাহলে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্ন মিউনিখ এবং অকল্যান্ড সিটির মধ্যকার ম্যাচটা দেখুন। নিউজিল্যান্ডের ক্লাবটিকে পেয়ে যেন গোল উৎসবে মেতে উঠেছিলো থমাস মুলার, জামাল মুসিয়ালারা।
নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি একমাত্র অপেশাদার দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। প্রথম ম্যাচেই তাদের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখ। প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। সি গ্রুপে প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ১০-০ গোলে জিতেছে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে ৬ গোল দেয় বায়ার্ন। এই সময়ে কিংসলে কোমান ও মিখাইল অলিসে জোড়া গোল করেন। বিরতির পর চার গোলের তিনটি করেন মুসিয়ালা। দুই অর্ধে একবার করে জাল কাঁপান থমাস মুলার। ৬ ও ২১ মিনিটে কোমান গোল করার মাঝে বোয়েকে একটি গোল বানিয়ে দেন। অলিসে ২০ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন।
তারপর ইনজুরি টাইমে নিজের দ্বিতীয় গোলে দলের স্কোর ৬-০ বানান। ৪৫ মিনিটে মুলারের গোলও ছিল। বিরতির পর মাঠে ফিরে মুসিয়ালা পেনাল্টি থেকে ৬৭ মিনিটে ৭-০ করেন। তাতে ক্লাব বিশ্বকাপে যে কোনও ফরম্যাটে প্রথম দল হিসেবে সাত গোল করে বায়ার্ন। ৭৩ ও ৮৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন মুসিয়ালা। পাঁচ মিনিট পর মুলার গোলসংখ্যা দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যান।