ককেশাস অঞ্চলের দেশ আজারবাইজানের বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারি বাহিনীর ব্যাপক হামলার পর আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আর্মেনিয়ায়। আত্মসমর্পণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আর্মেনীয় রাজধানী ইয়েরেভানের কেন্দ্রস্থলে রিপাবলিক স্কোয়ারে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি জানায়। ২০২০ সালে দুইপক্ষের মধ্যকার যুদ্ধে আজারবাইজানের কাছে পরাজয় এবং এখন কারাবাখে আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত পতনের জন্য তাকেই দায়ী করা হচ্ছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই এদিন আর্মেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি জানায়। আর্মেনিয়ার এই প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের যুদ্ধে আজারবাইজানের কাছে পরাজয়ের সময়ও দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন এবং এখন তার নেতৃত্বেই কারাবাখে আর্মেনিয়ান কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত পতন হলো।
আজারবাইজানের ভূখন্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহল নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে কয়েক মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি বিতর্কিত ওই ভূখন্ডে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য এক ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। আর আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ওই অঞ্চলে গত মঙ্গলবার আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর অভিযান পরিচালনার খবর পাওয়া যায়। মূলত সামরিক অভিযানের একদিনের মাথায় আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়।
উভয় দেশই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে; যা বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে কার্যকর হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নাগোরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীকে নিরস্ত্র এবং ভেঙে দেওয়া হবে। এছাড়া ওই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ এবং সেখানে বসবাসকারী জাতিগত আর্মেনীয়দের বিষয়ে বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।