শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সৌদি আরবে এক দিনে সাতজনের শিরচ্ছেদ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সৌদি আরবে এক দিনে সাতজনের শিরচ্ছেদ

সৌদি আরবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার সাতজনের মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। এটি ২০২২ সালের মার্চের পর দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মৃতু্যদন্ড কার্যকর করার ঘটনা। ওই মাসে একদিনে ৮১ জনের মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি বলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে তোলা ও এগুলোকে অর্থায়নের দায়ে ওই সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

মৃতু্যদন্ড কার্যকর করার সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি সৌদি আরব। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক হিসাবে দেখা গেছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত সৌদি আরবে ২৯ জনের মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে ১৭০ জনের মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

সৌদি আরবে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে। প্রায় দুই বছর আগে দেশটিতে একদিনে ৮১ জনের শিরশ্ছেদের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।

মঙ্গলবার যে সাতজনের মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে নাম ও পদবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তারা সৌদি আরবের নাগরিক।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রক্তপাত উদ্বুদ্ধ করে এমন সন্ত্রাসী ধারণা লালন, সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও অর্থায়ন, সমাজের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করার লক্ষ্যে এগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকা ও সহায়তা করা এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার দায়ে ওই সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে অভিযোগগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়নি।

সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইউরোপিয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আদেল আল সাইদ মনে করেন, অভিযোগগুলো 'অস্পষ্ট'।

আদেল আল সাইদ এএফপিকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কোন 'সন্ত্রাসী সংগঠনের' সদস্য, বিবৃতিতে তা উলেস্নখ করেনি কর্তৃপক্ষ। তারা আসলে কী অপরাধ করেছেন, এসব অপরাধকর্মে ভুক্তভোগীদের ভূমিকা কী, তা উলেস্নখ করা হয়নি।

সৌদি আরবে গত বছরের শুধু ডিসেম্বরেই ৩৮ জনের মৃতু্যদন্ড কার্যকর করা হয়। ওই বছর যাদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের কারণে দুই সেনার মৃতু্যদন্ড কার্যকর হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে