রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
জাতিসংঘের প্রতিবেদন

পশ্চিম তীর-জেরুজালেমে ইসরাইলি বসতির রেকর্ড সম্প্রসারণ

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বাস্তবসম্মত সম্ভাবনা নির্মূলের ঝুঁকি বেড়েছে
যাযাদি ডেস্ক
  ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদিদের বসতি

অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলি বসতির রেকর্ড সম্প্রসারণ হয়েছে। এতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে কোনো বাস্তবসম্মত সম্ভাবনা নির্মূলের ঝুঁকিও বেড়েছে। শুক্রবার এসব কথা বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার বলেন, ইসরাইলি বসতি বৃদ্ধির পরিমাণ এবং সেখানে ইসরাইল কর্তৃক দেশটির জনসংখ্যার স্থানান্তর একটি যুদ্ধাপরাধ। তথ্যসূত্র : রয়টার্স

শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কমিশন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরাইলি দখলদারিত্বের হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিশনের প্রধান কার্যালয় জেনেভা দপ্তরে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন ২৪ হাজার ৩০০টি হাউজিং ইউনিট বা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা।

ইসরাইলের মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই পশ্চিম তীরে শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ, শুক্রবার জমা দেওয়া ১৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এসব কথাই উলেস্নখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পর এই প্রথম পশ্চিম তীরে এত বেশিসংখ্যক অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসরাইল সরকার।

প্রতিবেদন জমা পড়ার পর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, 'এই নতুন আবাসন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো- দখলকৃত এলাকাগুলো থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে সেখানে ইসরাইলের জনসংখ্যার বিস্তার ঘটানো। নিশ্চিতভাবেই এটি একটি যুদ্ধাপরাধ।'

পশ্চিম তীরে বাড়ছে সংঘাত

এদিকে, পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনি ও ইহুদি বসতিকারীদের মধ্যে দাঙ্গা-সংঘাত বেড়েছে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ব্যাপকভাবে বেড়েছে দাঙ্গা-হাঙ্গামার হার। দুই পক্ষের সংঘাতে গত পাঁচ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন চার শতাধিক ফিলিস্তিনি।

এই ইসু্যতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আইডিএফ বলেছে, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা থেকে 'শিক্ষা নিয়ে' গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে আইডিএফ এবং ইসরাইলি পুলিশ। সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন এই চার শতাধিক ফিলিস্তিনি। নিহত ফিলিস্তিনিদের 'জঙ্গি' বলেও দাবি করেছে আইডিএফ।

বিবৃতিতে ভলকার তুর্ক বলেন, গত ৫ মাসে পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি এবং ইহুদি বসতিকারীদের মধ্যকার সংঘাত এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং এটি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যাবতীয় সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেতে বেশি দিন লাগবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে