রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ১০ হাজার ৭০৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৯৪ জন শিশু। শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক সহকারী প্রধান মোহাম্মদ খালেদ খায়ের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, 'আমরা বেসামরিক লোকজন অবকাঠামোর ওপর যেকোনো হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরনের হামলা নিষিদ্ধ। ইউক্রেন এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বেসামরিকদের ওপর যেসব হামলা হচ্ছে, সেগুলো একদমই অগ্রহণযাগ্য এবং অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।' তথ্যসূত্র : আনাদলু
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা লিসা ডোটেনও উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবারের বৈঠকে। তিনি জানান, ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেসব অঞ্চলে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পেঁৗঁছাতে পারছে না। তিনি বলেন, 'রাশিয়ার দখলকৃত দোনেৎস্ক, খেরসন, লুহানস্ক ও ঝাপোরিঝিয়ার অন্তত ১৫ লাখ মানুষের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু সেখানকার রুশ প্রশাসনের বাধার কারণে জাতিসংঘের ত্রাণ এসব অঞ্চলে পৌঁছাতে পারছে না।
২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখন্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতির প্রদান না করা, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদবির ইত্যাদি নানা ইসু্যতে কয়েক বছর টানাপড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০২৪ সালে দ্বিতীয় বছরে পা রেখেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই সময়সীমার মধ্যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিঝিয়া-এই চারটি প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই চার প্রদেশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখন্ডের এক-পঞ্চমাংশ।
এই দুই বছরে বেশ কয়েকবার এই যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন যদি ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও ঝাপোরিঝিয়াকে রুশ ভূখন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত থাকে, সেক্ষেত্রে রুশ বাহিনীও অভিযান বন্ধ করবে।
কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বছর এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট পুতিন যতদিন ক্ষমতাসীন থাকবেন, ততদিন পর্যন্ত রুশ প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না কিয়েভ।
Google News ফিড অনসরণ করুন
