রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানে বস্নাসফেমির দায়ে শিক্ষার্থীর মৃতু্যদন্ড

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তার মাধ্যমে ধর্ম অবমাননা করার দায়ে পাকিস্তানে ২২ বছর বয়সি এক শিক্ষার্থীকে মৃতু্যদন্ডের সাজা দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশে ওই শিক্ষার্থী হোয়াটসঅ্যাপে ধর্ম অবমাননামূলক ছবি ও ভিডিও পাঠানোয় তাকে এই দন্ড দেওয়া হয়েছে।

দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের ওই আদালত বলেছেন, একই মামলায় ১৭ বছর বয়সি অপর এক শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীই তাদের বিরুদ্ধে আনা বস্নাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পাকিস্তানে বস্নাসফেমির সাজা মৃতু্যদন্ড। তবে দেশটিতে ধর্ম অবমাননার দায়ে কিছু মানুষকে মামলার বিচারের আগেই পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে পাকিস্তানের 'ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি'র (এফআইএ) সাইবার ক্রাইম ইউনিট ২০২২ সালে ওই অভিযোগ করেছিল। পরে মামলাটি গুজরানওয়ালা শহরের স্থানীয় এক আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

চলতি সপ্তাহে দেওয়া আদালতের রায়ে বিচারক বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রীদের সম্পর্কে মর্যাদাহানিকর ছবি ও ভিডিও বানিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সি ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার সর্বোচ্চ সাজার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

আর একই মামলায় ছবি ও ভিডিও শেয়ারের অভিযোগে ১৭ বছর বয়সি ওই শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী বলেছেন, তিনি অন্তত তিনটি ভিন্ন ফোন নম্বর থেকে সেসব ছবি এবং ভিডিও পেয়েছিলেন।

এফআইএ বলেছে, তারা বাদীর ফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, তাকে এসব অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেছেন, ওই দুই শিক্ষার্থী ভুয়া মামলার ফাঁদে পড়েছেন।

মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর বাবা বলেছেন, তিনি আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে লাহোরের হাইকোর্টে আবেদন করবেন। আদালত বলেছেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় দ্বিতীয় শিক্ষার্থীকে মৃতু্যদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে