রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপড়েনের পর নির্ধারিত সময়ের আগেই মালদ্বীপ থেকে সেনা ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে ভারত। মালদ্বীপের 'মিহারু' সংবাদপত্রের অনলাইন খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সর্ব দক্ষিণের আদ্দু দ্বীপে মোতায়েন ২৫ জন ভারতীয় সেনা এরই মধ্যে মালদ্বীপ ছেড়েছে। দুই পক্ষের সমঝোতা অনুসারে যদিও ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার শুরুর কথা ছিল আগামী ১০ মে। কিন্তু এর আগেই সেনাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে দিলিস্ন। গত ১০ মার্চ ২৫ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, বাকিদেরও মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে। তথ্যসূত্র : এএফপি, এনডিটিভি
মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা। তবে এর পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করত ভারতীয় সেনারা।
কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি হিসেবে উলেস্নখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থি রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বানও জানান তিনি। সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে, ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে দিলিস্নর সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।
মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে দিলিস্নর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন তিনি। অন্যদিকে, ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে- এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি। মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।
Google News ফিড অনসরণ করুন
