রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দুই বছরে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ১.৬ বছর কমেছে। আগে যে ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়েও আয়ু কমেছে বেশি।
আমেরিকা ভিত্তিক 'ইন্সস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন' (আইএইচএমই)-এর তথ্য অনুসন্ধানকারী গবেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী আয়ুষ্কালের এক দশক দীর্ঘ বৃদ্ধির পর এটি এখন উল্টো দিকে ঘুরছে।
আইএইচএমই গবেষক এবং দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক অস্টিন শুমাখার বলেন, 'বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারিটি অর্ধ শতাব্দীতে সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেখা যে কোনো ঘটনার চেয়ে আরও গভীর প্রভাব ফেলেছে।' তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ২০২০-২০২১ সময়কালে, ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশের আয়ু হ্রাস পেয়েছে, যা নতুন ভাইরাসগুলোর 'বিধ্বংসী সম্ভাব্য প্রভাব প্রদর্শন করে'।
এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃতু্যর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং নারীদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
গবেষকরা অনুমান করেছেন, মেক্সিকো সিটি, পেরু ও বলিভিয়ায় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমেছে। কিন্তু আইএইচএমই-এর 'ল্যান্ডমার্ক গেস্নাবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি'র আপডেট করা হিসাবে কিছু ভালো খবরও পাওয়া গেছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সি প্রায় পাঁচ লাখ কম শিশু মারা গেছে, যা শিশু মৃতু্যহারের দীর্ঘমেয়াদি পতন অব্যাহত রেখেছে। আইএইচএমই গবেষক এই 'অবিশ্বাস্য অগ্রগতি'কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, 'বিশ্বকে এখন পরবর্তী মহামারি ও বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যের বিশাল বৈষম্য মোকাবিলার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত'।
গবেষকরা বলেছেন, ১৯৫০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গড় আয়ু ২৩ বছর বেড়ে ৪৯ থেকে ৭২ বছর হয়েছে।
কোভিড ২০২০-২০২১ সময়কালে সরাসরি ভাইরাস থেকে বা পরোক্ষভাবে মহামারি সম্পর্কিত কারণে অতিরিক্ত এক কোটি ৫৯ লাখ লোকের মৃতু্য হয়েছে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগে অনুমান করা থেকে ১০ লাখের বেশি অতিরিক্ত মৃতু্য।
মহামারি না থাকলে কতজন মারা যেত বলে অনুমিত হিসাবের সঙ্গে মোট মৃতু্যর সংখ্যা তুলনা করে অতিরিক্ত মৃতু্যর হিসাব করা হয়। তথ্যসূত্র : এএফপি
Google News ফিড অনসরণ করুন
