শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

মোদির বিরুদ্ধে 'ম্যাচ ফিক্সিংয়ের' অভিযোগ রাহুল গান্ধীর

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে 'ম্যাচ ফিক্সিং'য়ের অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রোববার দিলিস্নর রামলীলা ময়দানে 'ইনডিয়া' জোটের 'গণতন্ত্র বাঁচাও' সমাবেশে যোগ দেন তিনি। সেখানেই বক্তৃতা দিতে গিয়ে ক্রিকেট খেলার সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের তুলনা করেন কংগ্রেস নেতা। তার অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে নিজেরাই আম্পায়ার বেছে নিয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করছে। তথ্যসূত্র : ইকোনমিক টাইম

লোকসভা নির্বাচনের আগে দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এক কমিটি। যে কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও লোকসভার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছিলেন। এই নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ঘটনার সমালোচনা করেই এই মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী।

রাহুল বলেন, "ক্রিকেটে ম্যাচের ফল নিজেদের পছন্দসই করার জন্য আম্পায়ারকে চাপ দেওয়া হয়। একে ম্যাচ ফিক্সিং বলে। এবারের নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটছে। নরেন্দ্র মোদি ম্যাচ 'ফিক্স' করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে তিনি দুইজন খেলোয়াড়কে কারাগারের বন্দি করেছেন। নির্বাচনের ঠিক আগে, দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধীদলের সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এটা কী ধরনের নির্বাচন? আমাদের লড়াই সংবিধানকে রক্ষার জন্য।"

ইনডিয়া জোটের নেতা বলেন, সংবিধানের পাশাপাশি গরিবদের অধিকারও খোয়া যাবে। গত ৪০ বছরের মধ্যে বৈষম্য সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এই নির্বাচন সংবিধান রক্ষার লড়াই। এর সঙ্গে সঙ্গে দরিদ্র, আদিবাসী, কৃষকদের অধিকার রক্ষার লড়াই। নরেন্দ্র মোদি নিজের বেছে নেওয়া নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করেছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের ঠিক আগে দুই মুখ্যমন্ত্রীকে কারাগারে বন্দি করেছে। কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বস্নক করে দিয়েছে। যাতে বিরোধীদের চূর্ণ করা যায়। এমনকি, তিনি বিচারব্যবস্থার ওপরও চাপ সৃষ্টি করছেন। তাদের এই 'ম্যাচ ফিক্সিং'-এর প্রচেষ্টা সফল হলে, দেশে আগুন জ্বলবে।

এর আগে দিলিস্নর আবগারি কেলেঙ্কারির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। ভারতে এই প্রথম কোনো ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর আগে ঝাড়খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেপ্তার করে ইডি। তার বিরুদ্ধে এক জমি মামলায় আর্থিক 'নয়ছয়ের' অভিযোগ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে