গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় জুড়া ও নেশার টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে বখাটে ছেলে আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।
ছেলের এলোপাতাড়ি মারপিটে গুরুতর আহত বাবাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে দেয়।
সেখানে তিনি ৯ দিন চিকিৎসাসেবা নেন। চিকিৎসা শেষে বাবা আজিজার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর গত ৪ মে ছেলে আশিকুর কে অভিযুক্ত করে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে বাবা আজিজার রহমান বাদি হয়ে একটি অভিযোগ রুজু করেন।
সম্প্রতি উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম খামার দশলিয়া গ্রামে এঘটনাটি ঘটে।
এদিকে ভুক্তভোগি অসহায় বৃদ্ধ বাবার অভিযোগ ৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে অবাধ্য ছেলের বিচারের দাবিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বর ও থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলেও আজও কোন সুবিচার মেলেনি তার ভাগ্যে।বৃহস্পতিবার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, গত ৪ মে বাবা আজিজার রহমানের কাছে তার ছেলে আশিকুর রহমান জুড়া ও নেশার টাকার জন্য জমি ও টাকার দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু ছেলের এমন অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাবা নারাজ বাবা আজিজার।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে এ ঘটনার কয়েকদিন আগে ছেলে আশিকুর দেশিয় ধারালো অস্ত্রের মুখে তার বাবার পালিত গরুছাগল ও ২৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক বাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ার আব্দুল গফুর অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,তাৎক্ষনিক ভাবে এব্যাপারে ছেলে আশিকুর কে নোটিশ দিয়ে গ্রাম আদালতে ডাকা হয়।এরপর বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে আশিকুর গ্রাম আদালতে হাজিরা দিলেও পরিস্থিতির বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়।
নির্যাতিত বৃদ্ধ বাবা আজিজার রহমান অশ্রুসজল নয়নে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে বেশ কয়েদিন ধর্না দিয়ে কোন বিচার না পেয়ে ৩/৪ দিন আগে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়ে এসেছি।অভিযোগ খানা তদন্তের জন্য সাদুল্লাপুর থানার এসআই শুকুমার কে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এসআই শুকুমার বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। তবে দ্রুতই এব্যাপারে আইনগত এব্যবস্থা নেওয়া হবে। নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আজিজার রহমানের মেয়ে বলেন, আমার অসুস্থ বুড়া বাপটাকে কিভাবে মারধর করে জখম করলো।এঘটনার পরে ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় অভিযোগ দিয়ে আসছি। ঘটনার কয়দিন হয়ে গেল কিন্তু আজও কোন বিচার পাইনি।।তিনি আক্ষেপ করে বলেন,আপনারা যদি বিচার না করেন এর বিচার আল্লাহ একদিন করবে,এই বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।